• ‘বিজেপি যেন বাঁকুড়ায় ঝান্ডা বাঁধার একটিও খুঁটি না পায়’, তৃণমূল কর্মীদের দেখতে বললেন বীরবাহা
    বর্তমান | ১২ অক্টোবর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁকুড়া: আগামী দিনে বাঁকুড়ায় বিজেপি যেন ঝান্ডা বাঁধার জন্য একটিও খুঁটি খুঁজে না পায়, তা তৃণমূল কর্মীদের দেখতে বললেন বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। শুক্রবার রাতে তালডাংরায় তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনির অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে মন্ত্রী এই হুঁশিয়ারি দেন। মঞ্চ থেকে নেমে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় জঙ্গলমহলকে বিরোধী শূন্য করার ডাকও তিনি দিয়েছেন। বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে কর্মীদের উদ্দেশে মন্ত্রীর বার্তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বনমন্ত্রীকে পাল্টা কটাক্ষ করেছে বিজেপি। 

    সম্মেলনের মঞ্চে বক্তব্য রাখার সময় বনমন্ত্রী বলেন, আমি সব সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে বলব, আমরা ভালো আছি, শান্তিতে আছি। আমাদের মধ্যে লড়াই-ঝগড়া হয় না। কিন্তু, বিজেপির সরকার কোনওদিন যদি এরাজ্যে আসে, তারা যদি দায়িত্বে আসে, তাহলে ত্রিপুরার মতো আমরা এখানেও গাড়ি ভাড়া পাব না। আমার মতো গ্রাম্য মেয়েরা, গ্রামের ছেলেমেয়েরা যদি কেক কেটে খায়, সেটাতেও বাধা দেবে। তাই আসুন সকলে মিলে এই বিজয়া সম্মিলনি থেকে অঙ্গীকারবদ্ধ হই, আগামী দিনে একটাও ঝান্ডা বাঁধার মতো খুঁটি যেন বিজেপি না পায়, সেইভাবে লড়াই করব সবাই মিলে। 

    অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, পশ্চিমবঙ্গের বুকে একটাই দল থাকবে, সেটার নাম তৃণমূল কংগ্রেস। একটাই নেত্রী থাকবেন, তাঁর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, একটাই নেতা থাকবেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আমরা যাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী ও এলাকার মানুষজন এখন ভালো আছি, শান্তিতে আছি। আমরা চাই না বিজেপি ক্ষমতায় আসুক। দু’দিন আগে আমার সঙ্গে যা হয়েছে, তাতে বিজেপি ক্ষমতায় এলে আমাদের ও এলাকার মানুষের বাঁচা দায় হয়ে যাবে। তাই আমরা চাই, একটাও ভোট যেন বিজেপি না পায়, একটি ঝান্ডাও যেন তারা বাঁধতে না পারে।

    বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার সভাপতি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, উত্তরবঙ্গে বিপর্যয়ের সময় নদীর জলে প্রচুর কাঠের গুঁড়ি ভেসে যেতে দেখা গিয়েছে। পুষ্পা সিনেমার মতো সেগুলি চোরাই কি না, তা বনমন্ত্রী আগে বলুন। আসলে তৃণমূল গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। ওরা একদলীয় শাসন কায়েম করতে চায়। তাই মন্ত্রী ভোটের আগে হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন। তবে ওই হুঁশিয়ারি কাজে দেবে না। আমরা এবার ক্ষমতায় আসতে চলেছি। বিজেপির হয়ে বাঁকুড়ার মানুষ খুঁটিতে দলের ঝান্ডা লাগাবে। 

    উল্লেখ্য, বর্তমানে বাঁকুড়ার একটি লোকসভা আসন ও আটটি বিধানসভা কেন্দ্র বিজেপির দখলে রয়েছে। আগের তুলনায় লালমাটির জেলায়  বিজেপির শক্তি কমলেও বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের সঙ্গে জোর লড়াই হবে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। ফলে গেরুয়া শিবিরের মনোবল ভাঙতেই মন্ত্রী তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন বলে ওয়াকিবহাল মহলের অভিমত। 
  • Link to this news (বর্তমান)