জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দুর্গাপুরের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীর গণধর্ষণ কাণ্ডে এখনওপর্য়ন্ত ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকীদের খোঁজে ঘটনাস্থলের সন্নিহিত এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস। ওড়ানো হচ্ছে ড্রোনও। এনিয়ে এবার মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার উত্তরবঙ্গ যাওয়ার আগে এনিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা। পুলিস অভিযুক্তদের খুঁজছে। কাউকে ছেড়ে কথা বলা হবে না।
পুলিস আপাতত জঙ্গল লাগোয়া বিজড়া গ্রামে তল্লাশি চালাচ্ছে। যেসব অভিযুক্ত এখনও পলাতক তাদের একজনব ওই গ্রামেরই বাসিন্দা। তারা পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পুলিস। তরুণীর সঙ্গীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। দুর্গাপুরের ঘটনা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,মেয়েটি প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজে পড়ত। এক্ষেত্রে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে নিজেদেরও সাবধান হতে হবে। পুলিস সব লোককে খুঁজছে। কাউকে এসকিউজ করা হবে না। তিনজন অলরেডি অ্যারেস্টেড। সেইসঙ্গে মেয়েটিরও স্টেটমেন্ট নেওয়া হচ্ছে। আমরা এক দুমাসের মধ্যে চার্জশিট দিয়ে দিই।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, উত্তরপ্রদেশে ধর্ষিতাকে আদালতে যাওয়ার আগে রাস্তায় মেরে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। আমরা কোনও কেসকেই সাপোর্ট করি না। বাংলায় আমরা জিরো টলারেন্স নিয়ে চলি। প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজেরও একটা দায়িত্ব রয়েছে তাদের স্টুডেন্টদের টেক কেয়ার করার। হস্টেলে যারা থাকে তারা তাদের নিজেদের টেক কেয়ার করতে হবে।
উল্লেখ্য, দুর্গাপুরের ওই বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়া ওড়িশার বাসিন্দা। ওড়িশা সরকারও এনিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। গত শুক্রবার রাতে এক সঙ্গীর সঙ্গে বাইরে বের হয়েছিলেন। তখনই কয়েকজন যুবক তাকে টেনে হিঁচড়ে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পুলিস তো জানতে পারে না কে কখন বাইরে বের হচ্ছে।