সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জাতিগত জনগণনা। সংবিধান বাঁচানোর ডাক। ‘বহুজন মোর্চা’ গঠন। এবার হরিয়ানার আত্মঘাতী পুলিশ কর্তার বাড়িতে যাওয়ার পরিকল্পনা রাহুল গান্ধীর। সব মিলিয়ে বিহার ভোটের আগে দলিত রাজনীতিতে জোর দিচ্ছে কংগ্রেস।
হরিয়ানায় আত্মঘাতী শীর্ষ পুলিশকর্তা পুরন কুমারের সুইসাইড নোটে ইঙ্গিত মিলেছে, দলিত হওয়ায় কর্মক্ষেত্রের বিভিন্ন স্তরে তাঁকে হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে। সেই হেনস্তার দরুণই তাঁর আত্মহত্যা। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরই ফ্রন্টফুটে নেমে গিয়েছে কংগ্রেস। পুরন কুমারের স্ত্রী অমনিত কুমারকে চিঠি লিখে সহমর্মিতা জানিয়েছেন খোদ সোনিয়া গান্ধী। তাঁর কথায় পুরান কুমারের মৃত্যু দেখিয়ে দিল কীভাবে শীর্ষপদে থাকা দলিত আমলারাও সামাজিক সমতা থেকে বঞ্চিত। ভূপিন্দর সিং হুডা, রণদীপ সুরজেওয়ালাদের মতো রাজ্য নেতারাও এই ঘটনায় সরব।
এবার আসরে নামছেন রাহুল গান্ধী। কংগ্রেস সূত্রের খবর, রাহুল হরিয়ানায় পুরন কুমারেরর বাড়ি গিয়ে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন। শুধু তাই নয়, দিন কয়েক আগে রায়বরেলিতে এক দলিত যুবককে গণপিটুনির শিকার হতে হয়েছিল। সেই যুবকের বাড়িতেও যাবেন রাহুল। সব মিলিয়ে দলিত ইস্যুতে বিজেপিকে কোণঠাসা করতে চাইছে কংগ্রেস।
এর নেপথ্যে বিহারের ভোট অঙ্ক কাজ করছে। আসলে বিহারে আরজেডির যাদব-মুসলিম ভোটব্যাঙ্কের পাশাপাশি অন্য জাতিগোষ্ঠীর ভোটও প্রয়োজন পড়বে মহাজোটের। আর কংগ্রেস টার্গেট করছে দলিতদের। বিহারের জনসংখ্যার একটা বড় অংশ দলিত। এই মুহূর্তে বিহার কংগ্রেসের প্রদেশ সভাপতিও দলিত। ২০২৪ লোকসভায় এই দলিত রাজনীতির সুফল পেয়েছে কংগ্রেস। বিহারেও দলিত ভোটারদের মন পেতে এই ইস্যুতে রাস্তায় নামতে চলেছে হাত শিবির।