ডলোমাইট মিশ্রিত পলির কতটা প্রভাব আলিপুরদুয়ারে? পরিদর্শন করে গেলেন বিশেষজ্ঞরা
প্রতিদিন | ১২ অক্টোবর ২০২৫
রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: ভুটান পাহাড়ে বৃষ্টিত ধুয়ে ডলোমাইট মিশ্রিত পলি এসে পড়েছে ডুয়ার্সের একাধিক এলাকায়। যার প্রভাবে কৃষিজমি থেকে সাধারণ জমি দূষণের কবলে পড়েছে। ঠিক কতটা প্রভাব পড়েছে, তা খতিয়ে দেখতে শনিবার উত্তরবঙ্গে বন্যা কবলিত এলাকা ঘুরে গেল তিন সদস্যের বিশেষজ্ঞ দল। শনিবার তারা আলিপুরদুয়ার ১ ব্লকের শালকুমারে পৌঁছন। এখানে শালকুমার ১ ও শালকুমার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা থেকে ডলোমাইট মিশ্রিত পলির নমুনা সংগ্রহ করেন। এই দলের সঙ্গে জেলার কৃষি দপ্তরের ডেপুটি ডাইরেক্টর সর্বেশ্বর মন্ডল, আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল-সহ অনেকেই ছিলেন।
জানা গিয়েছে, তিনজনের বিশেষজ্ঞ দলে রয়েছেন বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মৃত্যুঞ্জয় ঘোষ, অধ্যাপক নীহারেন্দ্র সাহা ও ডক্টর সিধু মুর্মু। এদিন বিষয়টি নিয়ে জেলা কৃষি দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর সর্বেশ্বর মণ্ডল বলেন, “তিন বিশেষজ্ঞের দল এই এলাকায় এসেছে। আমরাও আছি। এই বন্যায় এই এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা পলির নমুনা সংগ্রহ করেছেন। এই পলির প্রভাব কী হতে পারে বিশেষজ্ঞরা, তা খতিয়ে দেখবেন।”
গত সপ্তাহে উত্তরবঙ্গে ভয়াবহ হড়পা বানে বিপর্যস্ত বিস্তীর্ণ এলাকা। ভুটান পাহাড়ে টানা বৃষ্টির জেরে সেখান থেকে জল এসে ভাসিয়েছে ডুয়ার্সকে। আর সেই জলে ভুটান পাহাড়ে খনন করা গুঁড়ো ডলোমাইটও এসে জমা হয়েছে আলিপুরদুয়ারের একাধিক অংশে। বিশেষভাবে ক্ষতি হয়েছে কৃষিখেতের। নষ্ট হয়েছে ফসল। সেসব খতিয়ে দেখতেই বিশেষজ্ঞ দলের এই পরিদর্শন। এনিয়ে আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল বলেন, “পঞ্চায়েত মন্ত্রী মাননীয় প্রদীপ মজুমদার এই এলাকায় পরিদর্শনে এসে বিশেষজ্ঞ দলের আসার কথা জানিয়েছিলেন। তাঁর নির্দেশেই বিশেষজ্ঞরা এসেছেন নমুনা সংগ্রহ করতে। ভুটান থেকে নদীর জলের সঙ্গে বিষাক্ত ডলোমাইট এসেছে। ডলোমাইট ফসলের কী কী ক্ষতি করতে পারে, তা বিশেষজ্ঞরা খতিয়ে দেখবেন।”