উত্তরবঙ্গে উদ্ধারকারীদের বিশেষ পুরস্কার মমতার, বললেন ‘কেন্দ্রের সাহায্য দরকার নেই’
প্রতিদিন | ১২ অক্টোবর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হড়পা বানে কার্যত তছনছ হয়ে যাওয়া উত্তরবঙ্গ পুনর্গঠনের কাজ খতিয়ে দেখতে ফের সেখানে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার তিনি রওনা হয়েছেন দমদম বিমানবন্দর থেকে। সেখানে দাঁড়িয়েই বললেন, ”ওখানে কাজ কেমন চলছে, তা আমি দেখতে যাচ্ছি। পর্যালোচনা বৈঠক করব। উত্তরবঙ্গের বিপদে যাঁরা কাজ করেছেন, তাঁদের আলাদা করে পুরস্কৃত করা হবে। সে পুলিশ হোক আর স্থানীয় মানুষ, তাঁরা সবাই উদ্ধারকাজে সাহায্য করেছেন। পুরস্কার দেওয়া হবে।”
উত্তরবঙ্গে এত বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটে গিয়েছে। এত ক্ষতি, প্রাণহানি। কেন্দ্র কি সাহায্য ঘোষণা করেছে? রবিবার বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ”আমরা কেন্দ্রের সাহায্যের আশায় বসে থাকি না। আমাদের যা সামর্থ্য, তা দিয়েই মানুষকে যতটা সম্ভব সাহায্য করছি। এখানকার বিপর্যয়ে মোকাবিলায় আগেই নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। প্রচুর রাস্তা, সেতু ভেঙে গিয়েছে। সেইসব সারানোর কাজ চলছে। যত দ্রুত সম্ভব, আবার সব ঠিক করে দেওয়া হবে। রোহিনীতে কাজ শুরু হয়েছে। শেষ হতে ৫, ৬ দিন লাগবে। তবে মিরিকে ভেঙে পড়া ব্রিজ মেরামতিতে ৭,৮ দিন সময় লাগবে। তবে পাঙ্খাবাড়ি দিয়ে দার্জিলিং যাওয়া যাচ্ছে।”
মাত্র চারদিনের মধ্যে ফের বিধ্বস্ত উত্তরবঙ্গে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী কয়েকদিন তাঁর একগুচ্ছ কর্মসূচির কথা জানালেন নিজেই। রবিবার হাসিমারায় নেমে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন তিনি। আলিপুরদুয়ারে রাত্রিবাস করবেন। সোমবার নাগরাকাটায় যাবেন, মঙ্গলবার যাবেন মিরিকে। দার্জিলিং, কালিম্পং জেলা নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন। বুধ, বৃহস্পতিও দার্জিলিংয়ের একাধিক স্থান পরিদর্শন করার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। শুক্রবার তিনি কলকাতায় ফিরবেন। কালীপুজোর উদ্বোধন রয়েছে। এই বিপর্যয়ের একেবারে গোড়া থেকে যেভাবে মুখ্যমন্ত্রী এলাকায় গিয়ে সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে দুঃসময়ে উত্তরবঙ্গবাসীর পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাতে তাঁর এই ভূমিকা একেবারে ‘অভিভাবকে’র মতোই।