সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুর্গাপুর ‘গণধর্ষণ’ কাণ্ডে যারা জড়িত তারা কড়া শাস্তি পাবেই। রবিবার উত্তরবঙ্গ সফরে যাওয়ার পথে দমদম বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে এই ঘটনায় প্রথম প্রতিক্রিয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বেসরকারি কলেজ কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তার বিষয়ে আরও সজাগ হওয়ার প্রয়োজন ছিল বলেও জানান তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “দুর্গাপুরের ঘটনা আমাকে নয়। পুলিশকে বলুন। ওড়িশায় সমুদ্রসৈকতে কয়েকদিন আগে ৩ জনকে ধর্ষণে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? বেসরকারি কলেজের ঘটনা। বেসরকারি কলেজের দায়িত্ব আছে পড়ুয়াদের দেখভাল করার। পুলিশ তো আর বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে বসে থাকবে না। কেউ যদি রাত সাড়ে বারোটায় বেরিয়ে কোথাও যায়। আমি ঘটনাকে সমর্থন করছি না। অত্যন্ত নিন্দনীয়। যে যেখানে খুশি যেতে পারে, সেটা তার অধিকার। যারা হস্টেলে থাকে, তাদের একটা সিস্টেম আছে।” পুলিশের উদ্দেশে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের বার্তা, “পুলিশকে বলেছি সকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার। তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। যারা জড়িত তারা কড়া শাস্তি পাবে। আমরা কোনও ঘটনাকে সমর্থন করি না। কোনও ঘটনা ঘটলে আমরা গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করি। বাংলায় জিরো টলারেন্স নীতি।” বেসরকারি কলেজের নিরাপত্তা আরও বাড়ানো উচিত বলেও মত তাঁর।
বলে রাখা ভালো, দুর্গাপুরের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া ‘নির্যাতিতা’তরুণী ওড়িশার জলেশ্বরের বাসিন্দা। কলেজের হস্টেলে থাকেন তিনি। ঘটনা পরম্পরা নিয়ে জানা গিয়েছে, গত ১০ অক্টোবর রাতে এক বন্ধুর সঙ্গে খাবার খেতে গিয়েছিলেন ওই ছাত্রী। অভিযোগ, সেই সময় পরাণগঞ্জ কালীবাড়ি শ্মশান লাগোয়া জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে তাঁকে গণধর্ষণ করা হয়। জঙ্গল থেকে ওই বেসরকারি কলেজের দূরত্ব মাত্র ১ কিলোমিটার। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতরা হল অপু বাউড়ি, শেখ ফিরদৌস এবং শেখ রিয়াজউদ্দিন। পুলিশ শেখ নাসিরউদ্দিন ওরফে সম্রাটকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। মূল অভিযুক্ত সফিকুল শেখ এখনও পলাতক। প্রত্যেকেই বিজড়া বাউড়িপাড়া এবং ডাঙ্গাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। নির্যাতিতা তরুণী ভর্তি হাসপাতালে।
এদিকে, ইতিমধ্যে ওই বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে গিয়ে পৌঁছেছে অভয়া মঞ্চের ২৭ প্রতিনিধি। কলেজে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে কংগ্রেসের মহিলা প্রতিনিধি দল। স্বাভাবিকভাবে এই ঘটনায় কলেজের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তেমন সহযোগিতা পাচ্ছেন না বলেই অভিযোগ নির্যাতিতার বাবার।