রসায়নে এমফিল, সেই জ্ঞান কাজে লাগিয়েই একের পর এক ডাকাতি! শেষমেশ পুলিশের জালে 'শিক্ষিত' ডাকাত...
আজকাল | ১৩ অক্টোবর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: যে হাতে কলম ধরার কথা, সে হাতেই আগ্নেয়াস্ত্র। যে জ্ঞান গবেষণার কাজে লাগার কথা, তা ব্যবহার করে একের পর এক ডাকাতির ছক। রসায়নে এমফিল পাশ করা এক যুবককে দুটি গয়নার দোকানে ডাকাতির অভিযোগে গ্রেপ্তার করল দিল্লি পুলিশ। অবাক করার মতো বিষয় হল, অপরাধ জগতে নিজের দাপট কায়েম করতে অভিযুক্ত যুবক রসায়নে তার তুখোড় জ্ঞানকেই হাতিয়ার করেছিল।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম দীপ শুভম। বয়স আনুমানিক ৩২। আদতে বিহারের সীতামঢ়ীর বাসিন্দা হলেও বর্তমানে সে হরিয়ানার সোহনায় থাকছিল। শনিবার সোহনার হরি নগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের দাবি, দুটি ডাকাতির মামলায় সে ফেরার আসামি ছিল। জানা গিয়েছে, এর আগে ২০১৭ সালে নিজের রাজ্যে একটি ব্যাঙ্ক ডাকাতির মামলাতেও সে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল।
ক্রাইম ব্রাঞ্চের ডেপুটি কমিশনার হর্ষ ইন্ডোরা জানিয়েছেন, নিজের অর্জিত জ্ঞানকে কার্যত অপরাধমূলক কাজেই ব্যবহার করত শুভম। বিহারে ব্যাঙ্ক ডাকাতির সময় ধোঁয়াশা বোমা (স্মোক বম্ব) তৈরি করতে সে রসায়নের জ্ঞানকে কাজে লাগিয়েছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে বিএসসি (অনার্স), এমএসসি এবং এমফিল পাশ করেছে। এমনকী, বিশাখাপত্তনমে কিছু দিন আইন নিয়েও পড়াশোনা করেছিল সে।
তদন্তকারীরা জানান, ২০২১ সালে গুজরালওয়ালা এলাকায় দুটি গয়নার দোকানে সশস্ত্র ডাকাতির ছক কষেছিল শুভম ও তার সঙ্গীরা। খবর অনুযায়ী, একটি ঘটনায় তারা অস্ত্রের মুখে ৬ লক্ষ টাকার বেশি নগদ এবং মোবাইল ফোন লুঠ করে। অন্য একটি দোকানে কর্মীদের হুমকি দিয়ে ৭০ হাজার টাকা নিয়ে চম্পট দেয় তারা।
এক পুলিশকর্তা বলেন, "দিল্লির মামলায় জামিন পাওয়ার পর থেকেই সে ফেরার ছিল। গ্রেপ্তারি এড়াতে ক্রমাগত নিজের ডেরা বদল করছিল। সম্প্রতি পুলিশের একটি দল তার হদিস পায় এবং তাকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে। সোহনার একটি বেসরকারি সংস্থায় ইন্টেরিয়র ডিজাইনার হিসেবে কাজ করছিল শুভম।"
পুলিশ আরও জানিয়েছে, ২০১৭ সালে বিহারের পুপরি এলাকায় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ডাকাতি করেছিল শুভম। সেই সময়েই হুলুস্থুল বাধাতে মিথাইল অ্যাসিটেট ও বেনজিন দিয়ে বাড়িতে তৈরি স্মোক বম্ব ব্যবহার করেছিল সে। ব্যাঙ্ক থেকে প্রায় ৩.৬ লক্ষ টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছিল ডাকাতের দল।