• ঘুষ কাণ্ডে আদানিকে সমন পাঠাতে অসহযোগিতা করছে মোদি সরকার! বিস্ফোরক অভিযোগ নিয়ামক সংস্থার...
    আজকাল | ১৩ অক্টোবর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নিরাপত্তা সংক্রান্ত জালিয়াতি এবং ২৬৫ মিলিয়ন ডলারের ঘুষ কেলেঙ্কারির তদন্ত করছে মার্কিন সিকিওরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)। শুক্রবার অর্থাৎ ১২ অক্টোবর তারা আদালতকে জানিয়েছে যে আদানি গোষ্ঠীর কর্তাদের হাতে সমন ও অভিযোগপত্র তুলে দেওয়ার জন্য তাদের অনুরোধে সাড়া দেয়নি ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।

    সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই মামলাটি আমেরিকায় জাতীয় স্তরে নজর কেড়েছে। বিশেষত, এই বিষয়ে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সাহায্য পেতে মার্কিন নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির বারংবার চেষ্টার আবহে বিষয়টি আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

    ২০২৪ সালে ব্রুকলিনের কৌঁসুলিরা আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ভারতীয় আধিকারিকদের ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ এনেছিলেন। অভিযোগ, আদানি গোষ্ঠীরই একটি শাখা সংস্থা, আদানি গ্রিন এনার্জির উৎপাদিত বিদ্যুৎ কেনার জন্যই ওই ঘুষ দেওয়া হয়েছিল। এসইসি-র অভিযোগে আরও বলা হয়, যে ভারতীয় কর্তারা এই ঘুষ থেকে লাভবান হয়েছিলেন, তাঁরাই পরবর্তী কালে সংস্থার দুর্নীতি-দমন নীতি সম্পর্কে ভুল তথ্য দিয়ে মার্কিন লগ্নিকারীদের 'বিভ্রান্ত' করেছেন।

    প্রশ্নের জবাবে ভারতের আইন ও বিচার মন্ত্রক বা আদানি গোষ্ঠী, কেউই কোনও মন্তব্য করেনি। তবে আদানি গোষ্ঠী আগেই এসইসি-র এই অভিযোগকে 'ভিত্তিহীন' বলে দাবি করেছে এবং জানিয়েছিল যে এই অভিযোগ খারিজ করার জন্য তারা 'সমস্ত সম্ভাব্য আইনি পদক্ষেপ' করবে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে আদানি গ্রিন এনার্জি এই অভিযোগগুলি পর্যালোচনার জন্য স্বাধীন আইন সংস্থাকে নিয়োগ করেছিল।

    শুক্রবার নিউ ইয়র্কের এক জেলা আদালতকে এসইসি জানিয়েছে, আদানি গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা গৌতম আদানি এবং তাঁর ভাইপো সাগর আদানির কাছে আইনি নথি পাঠানোর জন্য তারা বারংবার ভারতের আইন মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। এসইসি-র দাবি, মন্ত্রকের সঙ্গে তাদের শেষ বার কথা হয়েছিল গত ১৪ সেপ্টেম্বর। কিন্তু নথিগুলি নির্দিষ্ট ব্যক্তির হাতে পৌঁছেছে কি না, সে বিষয়ে কোনও নিশ্চয়তা মেলেনি।

    এসইসি তাদের ফাইলে আরও উল্লেখ করেছে, "ভারতের আইন ও বিচার মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ চালিয়ে যাওয়া হবে এবং হেগ সার্ভিস কনভেনশনের মাধ্যমে অভিযুক্তদের কাছে সমন পাঠানোর চেষ্টাও জারি থাকবে।"
  • Link to this news (আজকাল)