একাধিক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ধাক্কা কাটিয়ে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে উত্তরবঙ্গের বন্যাকবলিত অঞ্চলগুলি। ভয়াবহ হড়পা বান ও ভূমিধসের জেরে বিপর্যস্ত হয়েছিল আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও দার্জিলিং জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। সড়ক যোগাযোগ ছিন্ন হয়ে যায় একাধিক জায়গায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় বহু ঘরবাড়ি, সেতু, কালভার্ট ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে পরিস্থিতির উন্নতিতে প্রশাসন ও বিভিন্ন সংস্থা একযোগে কাজ শুরু করায় আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিপর্যয়ের মুখে পড়া ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের কালিখোলা সেতু আংশিকভাবে খুলে দেওয়া হয়েছে। বাকি অংশে মেরামতের কাজ চলেছে পুরোদমে। মাদারিহাট থেকে হলং পর্যন্ত সড়ক ও সেতুগুলির ক্ষতিগ্রস্ত অংশ সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। দুধিয়ায় তৈরি হচ্ছে অস্থায়ী সেতু। সাফারি রুটের রাস্তাগুলি থেকেও পলি সরিয়ে যান চলাচলের উপযোগী করে তোলা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত ৩০টিরও বেশি সড়ক, সেতু ও কালভার্টে চলেছে মেরামত।
বন্যায় বই, খাতা, সার্টিফিকেট হারিয়ে পড়াশোনার ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগে ছিলেন অভিভাবকরা। সেই দুশ্চিন্তা দূর করতে এগিয়ে এসেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশে ময়নাগুড়ির বানভাসি এলাকায় বই, খাতা, পেন-সহ শিক্ষাসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের শিশুদের হাতে। পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের তরফে নষ্ট হয়ে যাওয়া নথিপত্র নতুন করে তৈরির জন্য বিশেষ ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফেও ডুপ্লিকেট মার্কশিট ও সার্টিফিকেট দেওয়ার বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।