সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের বিদেশের মাটিতে দেশের বাকস্বাধীনতা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। চিলি সফরে লোকসভার বিরোধী দলনেতা বলেন, ভারতে মুক্তচিন্তার উপর আঘাত আসছে। পাশাপাশি জাতিপ্রথা এবং শিক্ষা পরিস্থিতি নিয়েও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন রাহুল। এই ঘটনায় বেজায় ক্ষুব্ধ বিজেপি। তাদের বক্তব্য, বিদেশের মাটিতে দেশকে কলঙ্কিত করা অভ্যাসে পরিণত করেছেন কংগ্রসে নেতা।
চিলি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গে আলাপচারিতায় রাহুলকে প্রশ্ন করা হয়, ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থায় নিয়ে কী ভাবছেন তিনি। উত্তরে রাহুল বলেন, আমি ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থাকে রক্ষা করতে চাই। যেন মানুষ প্রশ্ন করতে শেখে, খোলা মনে সমস্যার কথা বলতে পারে, কুয়োর ব্যাঙ না হয়ে যেন স্বাধীন চিন্তা করতে পারে। কংগ্রেস নেতা বলেন, “এটাই মূল ভাবনা। যদিও এই ভাবনা ভারতে আক্রান্ত হচ্ছে।” আরও বলেন, “মুক্তচিন্তার ধারণা, উন্মুক্ত চেতনার ধারণা, বৈজ্ঞানিক ভাবনার ধারণা, যুক্তিসঙ্গত হওয়ার ধারণা… এই ধারণাগুলি বর্তমানে ভারতে প্রচণ্ড আক্রমণের সম্মুখীন।”
এখানেই না থেমে রাহুলের গান্ধী বক্তব্য, ভারতে উচ্চবর্ণদেরই আধিপত্য রয়েছে। যদিও জনসংখ্যার প্রায় ৯০ শতাংশ মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবর্ণের মানুষ। “যদিও শিক্ষা ব্যবস্থায় তাঁদের ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং চিন্তাশীলতাকে স্থান দেওয়া হয়নি। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা উচ্চবর্ণের জন্য। তাই আমি শিক্ষা ব্যবস্থায় উপজাতি, মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবর্ণের ইতিহাস এবং ঐতিহ্য অন্তর্ভুক্ত করতে চাই।” এখানেই না থেমে কংগ্রেস নেতা বলেন, “গত দশ বছরে ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বর্তমান সরকার বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বিশ্বাস করে না, ফলে বৈজ্ঞানিক চেতনা ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। যার সংশোধন হওয়া দরকার। আমি যা করতে চাই।”
রাহুলের এই বক্তব্যেই বেজায় চটেছে গেরুয়া শিবির। কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপি মুখপাত্র বনে যাওয়া শাহজাদ পুনাওয়ালা বলেন, “রাহুল গান্ধী বিরোধী দলের নেতা নন। তিনি আসলে প্রচার এবং ভণ্ডামির নেতা। তিনি বিদেশে গিয়ে ভারতের সাংবিধানিক সংস্থা, ভারতের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, ভারতের বিচার বিভাগ এবং ভারতের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে কথা বলেন। এই বিষয়িটকে অভ্যাসে পরিণত করেছেন।”