সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কথায় বলে সিনেমা মাধ্যমে ফুটে ওঠে বাস্তবের ছবি। কিন্তু কখনও কখনও আবার বাস্তব অবস্থাটা উঠে আসে সিনেমার গল্পে। ‘ব্রেকিং বাদ’ সিরিজে দেখা গিয়েছিল, এক কেমিস্ট্রি অধ্যাপক ওষুধ বানাতে শুরু করেছিলেন। আর এখানে এক কেমিস্ট শুরু করলেন ডাকাতি। এ যেন গল্প হলেও সত্যি! অভিযুক্তের নাম দীপ শুভম। তাঁর দাবি, অর্থনৈতিক কারণই তাঁকে অপরাধের দিকে ঠেলে দিয়েছে। যদিও মূল স্রোতে ফিরতে চেয়েছিলেন…কিন্তু তা আর হয়ে ওঠেনি।
দিল্লি পুলিশর হেড কনস্টেবল অজয় জানিয়েছেন, একাধিক ব্যাঙ্ক ডাকাতির ঘটনায় যুক্ত ছিলেন এই দীপ শুভম। হরিয়ানার সোহনা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। পরে লোকেশন ট্র্যাক করে দীপকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জানা যায়, ২০১৭ এবং ২০২১-সালে দিল্লি ও বিহারের দুটি ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় যোগ রয়েছে ওই ব্যক্তির। পুলিশ সূত্রে খবর, দীপ আদতে একটি ইন্টেরিয়র ডিজাইন ফার্মে কাজ করেন। পড়াশোনায় যথেষ্ট ভালো। তাঁর কীর্তিতেই একেবারে অবাক পুলিশও।
জানা গিয়েছে, ৩২ বছরের দীপ বিহারের সীতামারির বাসিন্দা। দিল্লির কিরোরি কলেজ মাল কলেজ থেকে রসায়ন নিয়ে পড়াশোনা করেছেন তিনি। মাস্টার ডিগ্রি শেষ করে এম ফিলও করেন। এরপর আইন নিয়ে পড়াশোনা করেন তিনি। এলএলবি কোর্স করার সময় তাঁর পরিবারের আচমকা আর্থিক অনটন শুরু হয়। পড়াশোনার খরচ চালাতে একেবারে হিমশিম খেতে হয়। এই অবস্থায় ডাকাতির পথ কার্যত বেছে নিতে বাধ্য হন দীপ, এমনটাই পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
দীপ পুলিশকে জানিয়েছেন, পরিবার যখন তাঁকে আর টাকা দিতে পারছিল না, তখনই তিনি অপরাধের পথ বেছে নেন। ২০১৭-তে প্রথম অপরাধের পথে হাঁটেন দীপ। স্মোক বম্ব তৈরি করেন। সঙ্গে মিথাইল অ্যাসিটেট ও বেনজিন ছিল। সে সব নিয়ে ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া থেকে ৩.৬ লক্ষ টাকা লুঠ করেন। গ্রেফতারও হন। পরে জেল থেকে বেরনোর পর আবারও সেই একই পথে হাঁটেন। গয়না, মোবাইল লুঠ করার কথাও বলেন। বারবার একই ঘটনা ঘটায় দীপকে আবার খোঁজা শুরু করে পুলিশ। ডেপুটি কমিশনার, হর্ষ ইন্দোরা জানিয়েছেন, উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়েও ক্রিমিনাল হওয়ার পথ বেছে নিয়েছেন এই দীপ। ইতিমধ্যে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।