• ছন্দে ফিরছে জলদাপাড়া, হলংয়ে নদীতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তৈরি সেতু, স্বস্তি পর্যটকদের
    প্রতিদিন | ১৩ অক্টোবর ২০২৫
  • রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: নিম্নচাপের প্রবল বৃষ্টি ও ভুটান থেকে আসা জলের তোড়ে বিপর্যস্ত হয়েছে উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলা। একাধিক সেতু ভেঙে গিয়েছে জলের তোড়ে। ৫ অক্টোবরের সেই বিপর্যয়ের পর থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ির একাধিক এলাকা। জলের তোড়ে বিপর্যয়ে ভেসে গিয়েছিল হলং নদীর কাঠের সেতু। ফলে ওইসব এলাকার যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ওই কাঠের সেতু তৈরি হল। আজ, রবিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের উত্তরবঙ্গে গিয়েছেন। তার আগেই যাতায়াতের জন্য খুলে দেওয়া হল এই সেতু।

    ফলে পর্যটক থেকে সাধারণ বাসিন্দারা অনেকটাই হাঁফ ছাড়লেন। এই সেতু খুলে যাওয়ায় খুশি পর্যটন ব্যবসায়ীরাও। আলিপুরদুয়ারের জলদাপাড়ায় হলং নদীর উপর কাঠের সেতুটি ছিল। দুর্যোগে বিধ্বংসী রূপ নিয়েছিল সেই পাহাড়ি নদী। জলের তোড়ে খড়কুটোর মতো ভেসে গিয়েছিল ওই কাঠের সেতু। জলে ভেসে গিয়েছিল, জলদাপাড়ার একাধিক এলাকাও। ক্ষতিগ্রস্ত হয় একাধিক হোটেল, হোম স্টে। বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হলং বাংলোও।

    এদিকে পর্যটনের ভরা মরশুম। এই কাঠের সেতু না তৈরি হলে পর্যটকরাও ওই এলাকায় যেতে পারছিলেন না। দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন পর্যটন ব্যবসায়ী থেকে সাধারণ মানুষজন। এই অবস্থায় দ্রুত ওই কাঠের সেতু নির্মাণের দাবি জানানো হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গে গিয়ে দ্রুত উদ্ধারকাজ ও ভাঙা সেতু তৈরির কথা জানিয়েছিলেন। দিন কয়েকের মধ্যেই ওই কাঠের সেতু তৈরির কাজ শুরু হয়। সেতু পুনরায় নির্মাণ হলেই সাধারণের জন্য সেটি খুলে দেওয়া হয়। গাড়ি নিয়ে পর্যটকরাও ওই সেতু পেরিয়ে যাতায়াত শুরু করেছেন।

    এলাকার এক বনকর্মী জানাচ্ছেন, এই সেতু দ্রুত তৈরি হওয়ায় খুবই সুবিধা হল। হাতি লোকালয়ে ঢুকলে সেই জায়গায় পৌঁছনোয় সমস্যা হচ্ছিল। ঘুরপথে যাতায়াত করতে হছিল। এবার সেই সমস্যা কাটল। পর্যটক সিমু দত্ত জানিয়েছেন, পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে। এই সেতু তৈরি হওয়ায় গাড়ি নিয়ে আসা সম্ভব হল। রাস্তাও ঠিক করার কাজ চলছে বিভিন্ন জায়গায়। পরিস্থিতি আরও কিছুটা স্বাভাবিক হলে পর্যটকরা বেশি সংখ্যায় আসতে শুরু করবে। এমনই মনে করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
  • Link to this news (প্রতিদিন)