সরকারি হাসপাতালে প্রসূতির সঙ্গে অশালীন আচরণ, কুপ্রস্তাবের অভিযোগ! তদন্তে পুলিশ
প্রতিদিন | ১৩ অক্টোবর ২০২৫
দেব গোস্বামী, বীরভুম: দুর্গাপুরে চিকিৎসক পড়ুয়াকে গণধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল বাংলা! এর মধ্যেই হাসপাতালের মধ্যেই প্রসূতিকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ। রবিবার চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে বোলপুর মহকুমা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। অভিযোগ, প্রসব ঘরে ওই রোগীর সঙ্গে অশ্রাব্য আচরণ করা হয়। এমনকী কুপ্রস্তাব দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। অভিযুক্ত হাসপাতালেরই এক স্বাস্থ্যকর্মী। রবিবার এই ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। হাসপাতাল চত্বরেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন রোগীর আত্মীয়রা। যা নিয়ে বেশ কিছুটা উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ। দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। যদিও অভিযুক্ত যুবককে এখনও গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। খোদ সরকারি হাসপাতালের মধ্যে ঘটনায় প্রশ্নের মুখে সুরক্ষা।
রোগী পরিবারের অভিযোগ, গত ৭ অক্টোবর প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি হন মহিলা। কিন্তু গর্ভাবস্থায় জটিলতা বাড়ায় চিকিৎসকের পরামর্শে ১০ অক্টোবর তাঁকে প্রসব কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই সময় হাসপাতালের এক কর্মী প্রসূতির শরীরের বিভিন্ন স্থানে অশালীনভাবে স্পর্শ করে এবং কুপ্রস্তাব দেয় বলে অভিযোগ। প্রসূতির মা জানিয়েছেন, ”সরকারি হাসপাতালে প্রসূতি কক্ষে আমার মেয়ের সঙ্গে অশালীন ব্যবহার করা হয়েছে। ঘটনায় অভিযুক্ত হাসপাতালেরই এক স্বাস্থ্যকর্মী।” ঘটনায় অভিযুক্তের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ওই মহিলা।
শুধু তাই নয়, প্রসূতির পরিবারের আরও অভিযোগ, ”হাসপাতালের ভিতরেই প্রাণহানির আশঙ্কায় প্রথমে বিষয়টি গোপন রাখা হয়। তবে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরই নির্যাতিতা বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার দিবাকর সর্দারকে লিখিতভাবে গোটা ঘটনার বিবরণ দেন। পরে শান্তিনিকেতন থানায়ও অভিযোগ দায়ের করেন।” যদিও ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার বা আটক করতে পারেনি পুলিশ। তদন্ত শুরু হয়েছে বলেই স্পষ্ট করেছে শান্তিনিকেতন থানার আধিকারিকেরা। জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ সিং বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।”
অন্যদিকে বোলপুর মহকুমা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার দিবাকর সর্দার জানান, ”ইতিমধ্যেই আমাদের কাছে অভিযোগ করেছেন রোগী পরিবারেরা। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে। ঘটনার সময় কারা দায়িত্বে ছিলেন সব বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দোষী প্রমাণ হলে নেওয়া হবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা।”