• মণ্ডল কমিটি ঘিরে বিদ্রোহ জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে, পরপর পদত্যাগ, রতুয়ায় বিজেপিতে ‘গৃহযুদ্ধ’
    বর্তমান | ১৩ অক্টোবর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, চাঁচল: ঘরোয়া কোন্দলে জেরবার বিজেপি। উত্তর মালদহের রতুয়া বিধানসভা এলাকায় নবগঠিত ৪ নং মণ্ডল কমিটি গঠন নিয়ে ক্ষুব্ধ দলের নেতাকর্মীরা। উত্তর মালদহ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি প্রতাপ সিংহের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারের অভিযোগ করে একযোগে দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন ওই মণ্ডলের একাধিক পদাধিকারী। বিধানসভা নির্বাচনের আগে এমন ঘটনায় সমস্যা বাড়ছে দলের অন্দরে।

    সম্প্রতি রতুয়া বিধানসভা এলাকার ৪ নং মণ্ডল কমিটি গঠন হয়। কিন্তু স্থানীয় কর্মীদের মতামত উপেক্ষা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ফলে ক্ষুব্ধ হন পুরনো কর্মীরা। তাঁদের দাবি, দীর্ঘদিন সংগঠনের কাজ করেও গুরুত্ব পাননি। ফলে মণ্ডল কমিটির সভাপতি, সহসভাপতি সহ একাধিক পদাধিকারী পদত্যাগ করেন। রতুয়ায় একজোট হয়ে শতাধিক নেতাকর্মী জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। পদত্যাগকারীদের মধ্যে রয়েছেন মণ্ডল কমিটির সভাপতি শংকর সরকার, সহসভাপতি নবকুমার মণ্ডল ও রবীন্দ্রনাথ সাহা সহ আরও অনেকে। তাঁদের অভিযোগ, দলীয় সংগঠনকে জেলা সভাপতি ব্যক্তিগত স্বার্থে পরিচালনা করছেন। মর্জিমাফিক নাম ঘোষণা করে নিচুতলার কর্মীদের  উপেক্ষা করা হয়েছে।

    শংকরের অভিযোগ, সর্বসম্মতভাবে আমরা যে তালিকা তৈরি করেছিলাম, সেটা না মেনে জেলা সভাপতি নিজের মতো কমিটি গঠন করেছেন। আমাদের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। তাই দলের সব পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি। বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্বকেও জানানো হবে।

    সহসভাপতি নবকুমার মণ্ডলও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন এদিন। বলেন, সারা বছর পরিশ্রম করি, কর্মসূচি চালাই, ভোটে কাজ করি। অথচ জেলা নেতৃত্ব আমাদের গুরুত্বই দিচ্ছে না। তাই পদত্যাগ করছি।

    আরেক সহসভাপতি রবীন্দ্রনাথ সাহার বক্তব্য, দলীয় কমিটি তৈরি হয়েছে ব্যক্তিগত স্বার্থে। ভোট করব আমরা, অথচ সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে  একতরফাভাবে। এটা মেনে নেওয়া যায় না।

    বিজেপির উত্তর মালদহ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি প্রতাপ সিংহ অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর কথায়, নতুন মণ্ডল কমিটি গঠন দলের সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত। তাই এই বিষয়টি সাংগঠনিকভাবে দেখা হবে।  বিজেপির অন্দরে এই ফাটল নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল কংগ্রেস। দলের মালদহ জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি বলেন, বিজেপিতে এখন নেতৃত্ব সংকট। মাঠে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে না। দক্ষ কর্মীরা যদি উন্নয়নের রাজনীতি করতে চান, তাহলে আমাদের দরজা খোলা।
  • Link to this news (বর্তমান)