নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: আজ, সোমবার থেকে শিলিগুড়ির আঞ্চলিক পরিবহণ দপ্তরে শুরু হতে চলেছে টোটোর রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া। সকাল সাড়ে ১১টা থেকে এই প্রক্রিয়া শুরু হবে। যে সকল টোটোর রেজিস্ট্রেশন নেই তাদের নথিভুক্ত করে নেওয়ার উদ্দেশ্যই এই প্রক্রিয়া শুরু করা হচ্ছে।
পরিবহণ দপ্তরের নির্দেশে এই প্রক্রিয়া শুরু করা হবে বলে রবিবার জানিয়েছেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব। এদিন শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিসের ট্রাফিক ডিসিপি কাজী শামসুদ্দিন আহমেদ, পরিবহণ দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে পুরসভায় বৈঠক করেন মেয়র। বৈঠক শেষে মেয়র বলেন, সমস্ত টোটোকে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। পাশাপাশি টোটোর জন্য নির্দিষ্ট রুট ঠিক করে দেওয়া হবে। সেই মোতাবেক থাকবে কিউআর কোড। প্রত্যেকটি টোটোর জন্য আলাদা আলাদা কিউআর কোড রাখা হবে। ওই কোড দেখেই মানুষ এবং প্রশাসনের আধিকারিকরা জানতে পারবেন টোটোটি কোন রুটে চলার জন্য নথিভুক্ত হয়েছে।
গৌতম দেব বলেন, পরিবহণ দপ্তরের নির্দেশে আমরা শিলিগুড়ি আঞ্চলিক পরিবহণ দপ্তরের থেকে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু করছি। যে সকল টোটোর রেজিস্ট্রেশন নেই তাদের চালক-মালিকদের রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই শিলিগুড়ি শহরের টোটো নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দাবি উঠছিল। টোটোর কারণে যানজট হচ্ছে শহরে। বেপরোয়া গতিতে টোটো ছোটায় আকছাড় ছোটখাট দুর্ঘটনাও ঘটছে। এককথায় টোটোর দৌরাত্ম্য নিয়ে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে প্রশাসন অতিষ্ঠ।
দুর্গাপুজোর আগে টোটোর গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ এবং নির্দিষ্ট রুটে বেঁধে ফেলার জন্য রাজ্য পরিবহণ দপ্তর থেকে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। সেই বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করেছিল পুরসভা, পরিবহণ দপ্তর ও পুলিশ। সেখানে জানানো হয়েছিল, টোটোর জন্য রেজিস্ট্রেশনের পাশাপাশি রুট বিন্যাস করে দেওয়া হবে। এদিনের বৈঠকে সেই সিলমোহর পড়ল। রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে আজ থেকে। বৈঠক সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্দিষ্ট পোর্টালে আবেদনপত্র জমা করতে হবে। কেউ বাড়িতে বসে সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চাইলে সেও তা করতে পারবেন। যাঁরা বাড়িতে বসে করতে চাইছেন না, তাঁদের জন্য একাধিক জায়গায় রেজিস্ট্রেশন সেন্টার খোলা হচ্ছে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে সমস্ত টোটোকে আগামী দু’বছরের মধ্যে ই- রিকশতে পরিণত করতে হবে। সেই মোতাবেক তাদের পুরনো টোটো নষ্ট করে দিয়ে ই-রিকশ নিতে হবে। পুরসভার দাবি, বর্তমানে শিলিগুড়ি শহরে ৩৭০০’র বেশি টোটোতে টেম্পোরারি আইডেন্টিফিকেশন নম্বর দেওয়া আছে। আগামীতে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে সেই সংখ্যা আরও বাড়বে। তবে টোটোর জন্য নির্দিষ্ট রুট ঠিক করে দেওয়া হলে যানজটের আশঙ্কা আর থাকবে না।