সংবাদদাতা, বর্ধমান: গাড়িতে আর্মি ও গলসি–১ বিএলএলআরও দপ্তরের বোর্ড ঝুলিয়ে সাবমার্সিবল পাম্প, তার যন্ত্রাংশ লুটের একটি চক্রের হদিশ পেয়েছে আউশগ্রাম থানার অধীন ছোড়া অনুসন্ধান কেন্দ্রের পুলিশ। চক্রের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দলের বাকিরা পালিয়ে যায়। ধৃতের নাম স্বপন বাউরি। ধৃতের বাড়ি বুদবুদ থানার মানকরের গৌরবাগান এলাকায়। দলটির ব্যবহৃত একটি স্করপিও গাড়ি পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে। গাড়ি থেকে আর্মি ও গলসি–১ বিএলএলআরও দপ্তর লেখা একটি বোর্ড পাওয়া গিয়েছে। এছাড়াও গাড়ি থেকে দু’টি অক্সিজেন সিলিন্ডার, গ্যাস কাটার, বার্নার, লোহা কাটার ব্লেড প্রভৃতি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। এছাড়াও গাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ১৫ কেজি তামার তার। ধৃতের মোবাইলটিও পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে। পুলিশ জানতে পেরেছে, দলটি গাড়িতে আর্মি ও সরকারি দপ্তরের বোর্ড ঝুলিয়ে সাবমার্সিবল পাম্প, তার, ট্রান্সফর্মার প্রভৃতি লুট করে বলে ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জেনেছে পুলিশ। মানকরের এক স্ক্র্যাপ ব্যবসায়ীর নামও জানতে পেরেছে পুলিশ। সে–ই চুরির মালপত্র কেনে বলে ধৃত পুলিশকে জানিয়েছে। ধৃতকে রবিবার বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। দলের বাকিদের হদিশ পেতে এবং গ্যাংটির কারবারের বিষয়ে বিশদে জানতে ধৃতকে সাতদিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় পুলিশ। ধৃতের চারদিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুরে সাবমার্সিবল, তার, পাম্প ও ট্রান্সফর্মারের যন্ত্রাংশ চুরির একটি চক্র গাড়িতে চেপে জাতীয় সড়ক হয়ে মোড়বাঁধ– ১১ মাইল রোড ধরে যাবে বলে খবর পায় ছোড়া অনুসন্ধান কেন্দ্রের পুলিশ। সেইমতো ১১ মাইল–মোড়বাঁধ রোডে ডাঙাপাড়া গ্রামের কাছে নাকা চেকিং শুরু করে পুলিশ। স্করপিওটিকে আসতে দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়। পুলিশ রাস্তার সামনে চলে আসে। পুলিশকে দেখে স্করপিওর চালক কিছুটা আগে গাড়ি থামায়। গাড়িতে থাকা ৯–১০জন তড়িঘড়ি নেমে দৌড় শুরু করে। তারা জঙ্গলের দিকে যায়। পিছু ধাওয়া করে পুলিশ স্বপনকে ধরে ফেলে। পরে তল্লাশিতে গাড়ি থেকে বিভিন্ন সরঞ্জাম মেলে। ঘটনার বিষয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে পুলিশ। আউশগ্রাম ও তার আশপাশ এলাকায় গ্যাংটি ট্রান্সফর্মার ও সাবমার্সিবল পাম্প এবং যন্ত্রাংশ চুরিতে জড়িত বলে ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পেরেছে পুলিশ।