• দীঘায় উঠল ৯৫টি তেলিয়াভোলা, বিক্রি হল ৫৫ লক্ষ টাকায়
    বর্তমান | ১৩ অক্টোবর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, কাঁথি: রবিবার দীঘা মোহনায় মৎস্য নিলাম কেন্দ্রে একসঙ্গে একশোর কাছাকাছি তেলিয়া ভোলা ওঠায় রীতিমতো হইচই পড়ে যায়। এই মরশুমে মৎস্যজীবীদের জালে অন্যান্য মাছ উঠলেও ইলিশ আশানুরূপ ওঠেনি। তেলিয়া ভোলা জালে ওঠায় কিছুটা হলেও সেই হতাশা এবং ক্ষতি পুষিয়ে দিল। প্রায় ৪৮লক্ষ টাকায় তেলিয়া ভোলা বিক্রি হল। এহেন লক্ষ্মীলাভে মৎস্যজীবীদের মুখে চওড়া হাসি ফুটে উঠেছে। এদিন বেলার দিকে মোহনায় ফিশ মার্কেটের নিলামকেন্দ্রে ৯০টি ছোট ও বড় আকারের তেলিয়া ভোলা আসে। একসঙ্গে এতগুলি তেলিয়া ভোলা ঘিরে মৎস্যজীবী ও মৎস্য ব্যবসায়ীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। আশিক খানের ট্রলারে মৎস্যজীবীদের জালে এই মাছগুলি ধরা পড়ে। তারপর মোহনার নিলামকেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। আড়তদার অজিত বড়াইয়ের আড়তে নিলাম হয়। বিস্তর হাঁকডাকের পর ৯০টি মাছ ৪৮লক্ষ ২৫হাজার টাকায় নিলাম হয়। কলকাতার দু’টি মৎস্য ব্যবসায়ী কোম্পানি মাছগুলি কিনে নেয়। পরে নবকুমার পয়ড়্যার আড়তে ওড়িশার ধামড়ার একটি ট্রলারে ধরা পড়া পাঁচটি তেলিয়া ভোলা নিয়ে হাজির হন মৎস্যজীবীরা। নিলামের পর পাঁচটি মাছের দাম দাঁড়ায় ৬লক্ষ ৫৫হাজার টাকা। শঙ্কর গিরি নামে এক মৎস্য ব্যবসায়ী সেই মাছ কিনে নেন। সব মিলিয়ে এদিন ৯৫টি তেলিয়া ভোলা প্রায় ৫৫লক্ষ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে একসঙ্গে এত পরিমাণ মাছ এর আগে শেষ কবে জালে পড়েছে তা মৎস্যজীবী ও ব্যবসায়ীরা মনে করতে পারছেন না। দীঘা ফিশারমেন অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শ্যামসুন্দর দাস বলেন, তেলিয়া ভোলার পটকা জীবনদায়ী ওষুধ তৈরির কাজে লাগে। তাই এই মাছ এত দামি। তেলিয়া ভোলা বিদেশেও রপ্তানি হয়। তবে এতগুলি তেলিয়া ভোলা পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। কপাল ভালো হলে এই মাছ জালে ওঠে। আশিক সাহেব সেই ভাগ্যবান ব্যক্তিদের মধ্যে একজন। এতগুলি মাছ মোহনায় নিলামের জন্য এসেছে খবর পেয়ে আসেন সংশ্লিষ্ট পদিমা-২ পঞ্চায়েতের প্রধান সুশান্ত পাত্র। তিনি বলেন, এত তেলিয়া ভোলা মৎস্যজীবীদের জালে পড়েছে জেনে খুব ভালো লাগল। আমি একটা তেলিয়া ভোলা কিনেছি। এই ধরনের মাছ যত বেশি জালে উঠবে মৎস্যজীবী, ব্যবসায়ী এবং ট্রলারমালিকরা ততই উপকৃত হবেন। দীঘার মৎস্য ব্যবসা আরও সমৃদ্ধ হবে।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)