• ভীমপুরে ২০টি সোনার বিস্কুট সহ পাচারকারী বিএসএফের জালে
    বর্তমান | ১৩ অক্টোবর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কৃষ্ণনগর: আবারও বড়সড় সাফল্য পেল বিএসএফ। নদীয়ার ভীমপুর থানার মলুয়াপাড়া এলাকায় হোরান্দিপুর সীমান্ত থেকে ২০টি সোনার বিস্কুট সহ এক পাচারকারীকে হাতেনাতে ধরে বিএসএফ। ধৃতের নাম আহাদ আলি মণ্ডল। মলুয়াপাড়াতেই পাচারকারীর বাড়ি। বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া সোনার ওজন ২৩৩২.৬৬ গ্রাম। যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ২ কোটি ৮২ লক্ষ টাকা। ধৃত আহাদ চার বছর আগেও সোনা পাচার করতে গিয়ে ডিআরআইয়ের হাতে ধরা পড়েছিল। উদ্ধার হওয়া সোনা এবং ধৃত পাচারকারীকে ফের ডিআরআইয়ের হাতে তুলে দেয় বিএসএফ।

    গত ১০ অক্টোবর গভীর রাতে মলুয়াপাড়ার হোরান্দিপুর বিওপিতে মোতায়েন জওয়ানদের কাছে খবর আসে সীমান্তবর্তী গ্রামের এক ব্যক্তি বাংলাদেশ থেকে আনা সোনা পাচারের পরিকল্পনা করছে। সেইমতো জওয়ানরা ওই এলাকায় অপারেশন চালায়। ১১ অক্টোবর ভোরের দিকে হোরান্দিপুর এলাকায় ঘন বাঁশঝাড়ের আড়ালে এক সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে যেতে দেখা যায়। জওয়ানরা সঙ্গে সঙ্গে তাকে আটক করে। তল্লাশিতে তার কাছ থেকে একটি প্লাস্টিকের প্যাকেটে ২০টি সোনার বিস্কুট পাওয়া যায়। এরপরই ওই চোরাকারবারিকে গ্রেপ্তার করে হোরান্দিপুর বিওপিতে নিয়ে আসা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে বাংলাদেশ থেকে সোনার বিস্কুট এনে সীমান্তেই কাউকে তা হস্তান্তর করার কথা ছিল। 

    বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের জনসংযোগ আধিকারিক নিলোৎপাল পাণ্ডে বলেন, আমাদের সদা সতর্ক জওয়ানদের তৎপরতায় আবারও বড় চোরাচালান রুখে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। বিএসএফের শক্তিশালী গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক ও সীমান্তে মোতায়েন সাহসী কর্মীদের নজরদারিতেই এই ধরনের অবৈধ কাজ রোধ করা সম্ভব হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অবৈধ সোনা, গবাদি পশু ও মাদক পাচার রুখতে বিএসএফ সর্বদা সজাগ। আমরা সীমান্তবর্তী এলাকার সাধারণ মানুষদের অনুরোধ করছি তারা যেন যে কোনও সন্দেহজনক কার্যকলাপ দেখলেই বিএসএফকে জানায়। বর্তমানে সোনার দাম আকাশছোঁয়া হওয়ায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তজুড়ে ফের সোনা পাচার চক্র সক্রিয় হয়ে উঠছে। নদীয়া জেলার একাধিক সীমান্ত এলাকায় গত কয়েক মাসে ধরা পড়েছে কয়েক কোটি টাকার সোনা। আটক হয়েছে একাধিক পাচারকারী। বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৪ আগস্ট নদীয়ার ১১ ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা করিমপুর থেকে কৃষ্ণনগরগামী একটি বাসে অভিযান চালায়। সন্দেহজনক দুই যাত্রীকে আটক করে। তাদের দেহে তল্লাশি চালিয়ে চটির ভিতরে লুকিয়ে রাখা সাতটি সোনার টুকরো উদ্ধার হয়। বাজেয়াপ্ত ওই সোনার ওজন ছিল ১০৩০.৭২০ গ্রাম, যার বাজারমূল্য প্রায় ১ কোটি ৫ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা। এর পরেও থামেনি পাচারচক্রের দৌরাত্ম্য। গত ৭ সেপ্টেম্বর, নদীয়ার ১৯৪ ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা এক ভারতীয় পাচারকারীকে গ্রেফতার করে। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় ৩৫টি সোনার বিস্কুট, যার আনুমানিক বাজারমূল্য পাঁচ কোটি টাকারও বেশি। ধৃত ব্যক্তি ধানতলা থানার হরিতলাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। গত ২৩ সেপ্টেম্বর, কৃষ্ণগঞ্জের বানপুর সীমান্তে মোতায়েন ৩২তম ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা ৭১৯.২ গ্রাম ওজনের ৬টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করে। ওই সোনার বাজারমূল্য প্রায় ৮০ লক্ষ টাকারও বেশি। হাতেনাতে ধরা পড়ে এক পাচারকারী।
  • Link to this news (বর্তমান)