• খড়্গপুর-মোড়গ্রাম জাতীয় সড়ক নির্মাণ, ৮৫ কোটি টাকার জমি কিনল রাজ্য
    বর্তমান | ১৩ অক্টোবর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বর্ধমান: খড়্গপুর-মোড়গ্রাম জাতীয় সড়ক তৈরির জন্য জমিদাতাদের ৮৫ কোটি টাকা দিল পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। জমি কেনার জন্য ২১০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। নতুন এই জাতীয় সড়ক তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হলে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত হবে। অনেক কম সময়ে দক্ষিণবঙ্গ থেকে সেখানে পৌঁছনো যাবে। কোন কোন এলাকায় জমি অধিগ্রহণ করা হবে, তা ইতিমধ্যেই চিহ্নিত হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশও করা হয়েছে। কয়েকটি এলাকায় জমি না দেওয়ার জন্য উসকানি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। একটি সংগঠন ব্যানার হাতে আন্দোলন করেছে। জেলা প্রশাসনের দাবি, নায্য দাম দিয়েই জমি নেওয়া হচ্ছে। তারপরও কোথাও কোথাও জট পাকানোর চেষ্টা করছে।

    প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় ৯৮০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হবে। জেলার উপর দিয়ে ৪৩ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হবে। দামোদরের উপর জুজুটির কাছে নতুন একটি সেতু জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ তৈরি করবে। ওই এলাকাতেই বর্ধমান পুরসভার জলপ্রকল্প রয়েছে। একসময় সেতু তৈরি নিয়ে জট তৈরি হয়েছিল। সেই সমস্যা মিটে গিয়েছে। পুরসভার জলপ্রকল্পের কাছে সেতু তৈরিতে কোনও বাধা নেই। একাধিকবার বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলকোট এবং কেতুগ্রাম এলাকায় বেশি জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এই দু’টি ব্লকে ৬০ শতাংশ জমি নেওয়া হয়ে গিয়েছে। ভাতারের ৪০ শতাংশ জমি জেলা প্রশাসন পেয়ে গিয়েছে। খণ্ডঘোষ এবং বর্ধমান-১ ব্লকে কিছু সমস্যা রয়েছে। সেই সমস্যাও দ্রুত মিটে যাবে বলে আধিকারিকদের দাবি। অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) বিশ্বরঞ্জন মুখোপাধ্যায় বলেন, আশা করা যায় অল্প কিছুদিনের মধ্যে বাকি জমির মালিকরাও চেক নিয়ে যাবেন।

    প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, জেলার খণ্ডঘোষ, গলসি, ভাতার, মঙ্গলকোট এবং কেতুগ্রাম হয়ে জাতীয় সড়ক মুর্শিদাবাদে পৌঁছবে। রাস্তা তৈরির কাজ শেষ হলে ব্যবসায়ীরাও উপকৃত হবেন। অধিকাংশ মালিক জমি দিতে রাজি রয়েছেন। অল্প কয়েকজন বেঁকে বসেছেন। তাঁদের যাঁরা উসকানি দিচ্ছেন, তাঁদের অধিকাংশই জমির চেক নিয়ে গিয়েছেন। আধিকারিকদের দাবি, অল্প কয়েকজনের জন্য এতবড় প্রকল্প আটকে থাকতে পারে না। ওই জমিদাতাদের সঙ্গে প্রয়োজনে আবার বৈঠক করা হবে। সরকার জমির দাম যেটা নির্ধারণ করেছে সেটা যথেষ্টই। কাউকেই কম দাম দেওয়া হচ্ছে না। তারপরও অল্প কিছু জমির মালিক উল্টো পথে হাঁটছেন। এই প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ওই জমিদাতারাও উপকৃত হবেন। মাঝে বেশ কিছুদিন সরকারি অফিস বন্ধ ছিল। সেইসময় অনেকেই জমির দাম নিতে আসতে পারেননি। তবে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে জমি নেওয়ার কাজ সম্পূর্ণ হবে বলে আধিকারিকদের দাবি। নতুন রাস্তার রূপরেখা আগেই তৈরি হয়ে গিয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)