• জোড়াবাগানে মোবাইল ছিনতাই, পিছু ধাওয়া করে দুই দুষ্কৃতীকে ধরল পুলিশ
    বর্তমান | ১৩ অক্টোবর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রাত নয়, টার্গেট ভোর। প্রাতঃভ্রমণকারী ও পথচারীদের মোবাইল, সোনার চেন ছিনতাই করতে দুষ্কৃতীরা সক্রিয় হয়েছিল উত্তর কলকাতায়। পাল্টা তৎপর হয় কলকাতা পুলিশও। লালবাজারের প্রধানের নির্দেশে উত্তর কলকাতার গলিতে বাইক পেট্রোলিং শুরু হয় জোড়াবাগান, শ্যামপুকুর, বড়তলা থানা এলাকায়। তারই সুফল মিলল রবিবার ভোরে। এক প্রাতঃভ্রমণকারীর মোবাইল ফোন ছিনতাই করে চম্পট দেওয়ার চেষ্টা করে ২ দুষ্কৃতী। স্কুটারে ছিলেন তাঁরা। ধাওয়া করে দুষ্কৃতীদের পাকড়াও করল টহলরত পুলিশবাহিনী। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে জোড়াবাগান থানার পুলিশ। 

    সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। রোজই হাঁটতে বের হন নিমতলা ঘাট স্ট্রিটের ওই বাসিন্দা। অভিযোগকারী পুলিশকে জানিয়েছেন, এদিন সকালে হেঁটে ফেরার পথে তাঁর ফোন আসে। বাড়ির সদস্যরাই ফোন করেছিলেন। ফোনে কথা বলার সময় অতর্কিতে হানা দেয় দুষ্কৃতীরা। পিছন থেকে একটি স্কুটারে চেপে আসেন দু’জন। হাত থেকে ফোন ছিনিয়ে নেন তাঁরা। এরপরেই স্কুটারে গতি বাড়িয়ে চম্পট দেওয়ার চেষ্টা করেন। তাদের পিছনে দৌড় দেন অভিযোগকারীও। ‘চোর’, ‘চোর’ বলে চিৎকার করতে থাকেন। একে রবিবার সঙ্গে সাতসকাল হওয়ায়, গোটা রাস্তাটাই ফাঁকা ছিল। দোকানপাটও তখন ঝাঁপ খোলেনি। 

    কিন্তু, সক্রিয় ছিল জোড়াবাগান থানার বাইক পেট্রোলিং টিম। টহলদারি চালাচ্ছিলেন থানার দুই কনস্টেবল ও একজন সিভিক ভলান্টিয়ার। মোবাইল ফোন মালিকের আর্তনাদ শুনে দুই বাইকে চেপে দুষ্কৃতীদের ধাওয়া করেন পুলিশকর্মীরা। ঘটনাস্থল থেকে ৫০০ মিটারের মধ্যেই অভিযুক্তদের পাকড়াও করেন তাঁরা। ধৃতদের থেকে মেলে অভিযোগকারীর ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোনটি। দুই দুষ্কৃতীকে আটক করে থানায় নিয়ে যান তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, সেখানেই ছিনতাইয়ের কথা পুলিশের সামনে স্বীকার করেন অভিযুক্তরা। চুরি যাওয়া ফোনটি আইনি প্রক্রিয়া মেনে অভিযোগকারীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। তিনি দুই দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে জোড়াবাগান থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। এরপরেই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে পুলিশ।

    লালবাজার জানিয়েছে, অনেকদিন থেকেই উত্তর কলকাতায় ভোরবেলা চুরির অভিযোগ আসছিল। সেকারণেই ভোরে নজরদারি বাড়ানো হয়। এই এলাকায় গাড়ি নিয়ে সব রাস্তায় টহলদারির সমস্যা রয়েছে। তাই থানার বাইক পেট্রোলিং টিমকে সক্রিয় করা হয়। জোড়াবাগান থানার সক্রিয়তায় অপরাধীদের হাতেনাতে পাকড়াও করা সম্ভব হয়েছে। পরবর্তীতে এই নজরদারি জারি থাকবে।
  • Link to this news (বর্তমান)