• আড়াই কেজি সোনা, ৯৫ লক্ষ মজুরি নিয়ে উধাও গয়না কারিগর
    বর্তমান | ১৩ অক্টোবর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: অলঙ্কার তৈরির জন্য কারিগরকে সোনা দিয়ে বড়সড় প্রতারণার শিকার হলেন মুচিপাড়ার এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী। প্রায় আড়াই কেজি সোনা সোনা ও মজুরি বাবদ নগদ ৯৫ লক্ষ টাকা নিয়ে বেপাত্তা হয়েছিল সেই কারিগর। এমনকি, থানা-পুলিশ হয়েছে জানতে পেরে লুকিয়ে থেকে আগাম জামিনের আবেদন পর্যন্ত করেছিল আদালতে। সেই আবেদন খারিজ হওয়ায় ভিন রাজ্যে পালানোর চেষ্টা করছিল। শেষ পর্যন্ত মুচিপাড়া থানার পুলিশ তাকে পাকড়াও করে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম গৌতম ঘোড়াই। শনিবার রাতে তাকে শ্যামপুকুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত গৌতম ও তার ভাই উত্তম বিভিন্ন সোনার দোকান থেকে সোনা নিয়ে ডিজাইন অনুযায়ী গয়না তৈরি করে দেয়। এর জন্য গ্রাম পিছু পারিশ্রমিক পায় তারা। মুচিপাড়া থানা এলাকার ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ীর থেকে সোনা নিয়ে কয়েকবার অলঙ্কার তৈরি করেও দিয়েছে সে। সেই সূত্রেই জুন মাসে ব্যবসায়ী তাকে ২ কেজি ৩৬৪ গ্রাম সোনা ও মজুরি বাবদ ৯৫ লক্ষ টাকা দেন। সোনা নিতে এসেছিল গৌতম ও উত্তম। মাসখানেকের মধ্যে গয়না তৈরি করে দেওয়ার কথা ছিল।  গৌতমের। সেই সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর স্বর্ণ ব্যবসায়ী গৌতমের সঙ্গে যোগাযোগ করতে গিয়ে দেখেন, তার ফোন বন্ধ। কোনওভাবে যোগাযোগ করতে না পেরে অবশেষে তিনি মুচিপাড়া থানায় অভিযোগ করেন। প্রথমে গৌতমের ভাই উত্তমকে ধরা হয়। তাকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, পুরো সোনা রয়েছে তার দাদার কাছে। এভাবে সোনা হাতানোটাই তাদের পেশা। বরানগরেও তার বিরুদ্ধে সোনা চুরির মামলা রয়েছে। ভাই ধরা পড়ার খবর শুনে আগাম জামিনের আবেদন করে গৌতম। গত বৃহস্পতিবার সেই আর্জি নাকচ হয়ে যায়। শনিবার পুলিশ খবর পায়, অভিযুক্ত শ্যামপুকুর এলাকাতেই রয়েছে। এরপরই সেখানে হানা দিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতকে জেরা করে তদন্তকারীরা জেনেছেন, এভাবে সোনা হাতানোর পর সে গলিয়ে ফেলে। তারপর সেই সোনা বিক্রি করে বিভিন্ন জায়গায়। উত্তমকে ইতিমধ্যে বরানগর থানায় একটি চুরির মামলায় হেপাজতে নিয়েছে পুলিশ। তদন্তে উঠে এসেছে, শুধু গৌতম বা উত্তম নয়, একটি চক্র সক্রিয় রয়েছে এই কারবারে। 
  • Link to this news (বর্তমান)