• কাফ-সিরাপ কাণ্ডের তদন্তে নয়া মোড়, ওষুধ নিয়ন্ত্রক আধিকারিকদের বাড়িতে ইডি-র তল্লাশি! অভিযান সাত জায়গায় ...
    আজকাল | ১৩ অক্টোবর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: কাফ-সিরাপ কেলেঙ্কারি তদন্ত শুরু করেছে ইডি। সোমবার চেন্নাইয়ের সাতটি জায়গায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তল্লাশি চালাচ্ছে। এইসব জায়গার সঙ্গে যোগ রয়েছে স্রেসান ফার্মাসিউটিক্যালসের। এই সংস্থাই বিষাক্ত 'কোল্ড্রিফ' সিরাপ তৈরি করেছিল এবং এই ওষুধ খেয়েই মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থানে প্রায় দু'ডজন বেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা তামিলনাড়ুর সিনিয়র ড্রাগ কন্ট্রোল অফিসারদের বাড়িতেও অভিযান শুরু করেছে। ইডি আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ফার্মা কোম্পানির বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    স্রেসান ফার্মাসিউটিক্যালসের মালিক রঙ্গনাথন গোবিন্দনকে গত সপ্তাহে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এই মামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁকে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।

    'কোল্ড্রিফ' কাশির সিরাপে "বিপজ্জনক" ভেজাল পাওয়া গিয়েছে, যা একটি অত্যন্ত বিষাক্ত পদার্থ। তদন্তে স্রেসান ফার্মাসিউটিক্যালসের তামিলনাড়ু প্ল্যান্টে ৩৫০ টিরও বেশি নিয়ম লঙ্ঘনের ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে, যার মধ্যে ৩৮টি গুরুতর।

    ২০১১ সালে তামিলনাড়ু ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের লাইসেন্সপ্রাপ্ত, কাঞ্চিপুরম-ভিত্তিক এই ফার্মা কোম্পানিটি তার দুর্বল পরিকাঠামো এবং জাতীয় ওষুধ সুরক্ষা বিধির একাধিক লঙ্ঘন সত্ত্বেও এক দশকেরও বেশি সময় ধরে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলে সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (CDSCO) জানিয়েছে। ২০১৬ সালে নবীকরণ করা লাইসেন্সটি তামিলনাড়ু এফডিএ-র তরফে দেওয়া হয়েছিল এবং সিডিএসসিও এতে জড়িত ছিল না বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

    মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, তামিলনাড়ু এবং দিল্লি-সহ অনেক রাজ্য 'কোল্ড্রিফ' সিরাপটি নিষিদ্ধ করেছে। তামিলনাড়ু সরকার সংস্থাটি বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে এবং বলেছে যে, তারা শীঘ্রই কোম্পানির লাইসেন্স স্থায়ীভাবে বাতিল করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

    'হু' উদ্বেগ প্রকাশ করেছেভেজাল কাশির সিরাপের কারণে শিশুদের মৃত্যুর ঘটনায় দেশব্যাপী ক্ষোভের মধ্যে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) ভারতে স্থানীয়ভাবে বাজারজাত ওষুধের জন্য ডাইথাইলিন গ্লাইকল এবং ইথিলিন গ্লাইকলের জন্য স্ক্রিনিংয়ের "নিয়ন্ত্রক ব্যবধান" নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এটি দূষিত পণ্য অন্যান্য দেশে রপ্তানি হওয়ার সম্ভাব্য ঝুঁকির কথাও তুলে ধরেছে।

    হু-এর তরফে বলা হয়েছে, "এই ঘটনাবলী নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং কয়েকটি বিষয়ের উপর জোর দেয়: দূষিত পণ্য অন্যান্য দেশে রপ্তানির সম্ভাব্য ঝুঁকি, বিশেষ করে চোরা পথে। ভারতে স্থানীয়ভাবে বাজারজাত ওষুধের জন্য DEG/EG স্ক্রিনিংয়ের নিয়ন্ত্রণ ঘাটতি। দূষণের উৎস চিহ্নিত করা এবং প্রচলিত যেকোনও দূষিত ওষুধের উপাদান সনাক্ত করা এবং অপসারণ করা।" হু আরও বলেছে যে, দূষিত ওষুধ সম্পর্কে স্পষ্টীকরণের জন্য তারা সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন বা CDSCO-এর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।
  • Link to this news (আজকাল)