নেপালের জেল ভেঙে পালানো পাকিস্তানি মহিলা ধৃত ত্রিপুরায়
দৈনিক স্টেটসম্যান | ১৩ অক্টোবর ২০২৫
নেপালের জেল থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন এক পাকিস্তানি মহিলা। দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার সীমান্ত শহর সাবরুম থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে রেল পুলিশ। ধৃত মহিলার নাম লুইস নিঘাত আখতার ভানো। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি মাদক পাচারচক্রের সক্রিয় সদস্য এবং পাকিস্তানের নাগরিক।
রবিবার সাবরুম স্টেশনে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরির সময় তাঁকে আটক করে রেল পুলিশ। পরে সাবরুম থানার আধিকারিকরা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক নিত্যানন্দ সরকার জানান, ‘প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, তিনি সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন। তাঁর গতিবিধি ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।’
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ভানো পাকিস্তানের শেখুপুরার বাসিন্দা মহম্মদ গোলাফ ফারাজের স্ত্রী। প্রায় ১২ বছর আগে তিনি পাকিস্তানি পাসপোর্ট ব্যবহার করে নেপালে প্রবেশ করেন। সেখানেই তিনি মাদক পাচারের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন। ২০১৪ সালে নেপাল পুলিশ তাঁকে ১ কেজি ব্রাউন সুগার-সহ গ্রেফতার করে। আদালত তাঁকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেয় এবং তিনি কাঠমান্ডুর একটি সংশোধনাগারে বন্দি ছিলেন।
তবে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে নেপালে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সহিংস বিক্ষোভের জেরে বহু কারাগারে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। সেই সুযোগে তেরো হাজারেরও বেশি কয়েদি পালিয়ে যায় বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর। পুলিশের অনুমান, ভানো সেই সময়ই কারাগার থেকে পালিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন।
ঘটনার পর ত্রিপুরা জুড়ে সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলির সঙ্গেও সমন্বয় রেখে চলছে রাজ্য প্রশাসন। ধৃত মহিলাকে আদালতে তুলে পুলিশ হেপাজতে নেওয়ার আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। তাঁর নাগরিকত্ব, ভারতে প্রবেশের প্রকৃত উদ্দেশ্য এবং পাকিস্তানের সঙ্গে বর্তমান যোগাযোগ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা।