• গোপনে ‘শিকার’! নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে কাকদ্বীপের বাজারে বিক্রি হচ্ছে হাঙর
    আনন্দবাজার | ১৩ অক্টোবর ২০২৫
  • সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে দীর্ঘ দিন ধরেই হাঙর মাছ ধরার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাজ্যের মৎস্য দফতর। মৎস্যজীবীদের সতর্ক করতে পোস্টারও দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, তার পরেও হাঙর শিকার চলছে বাজারে তা বিক্রিও হচ্ছে। নামখানা নারায়ণপুর মৎস্যবন্দরে তারই প্রমাণ মিলেছে। অভিযোগ, বেশ কয়েকটি ট্রলার থেকে ভুটভুটি নৌকায় বাক্স নামাতে দেখা যায়, যাতে ছিল ছোট ছোট হাঙর মাছ। ক্যামেরা দেখে তড়িঘড়ি সেই বাক্স লুকিয়ে ফেলার চেষ্টা করেন মৎস্যজীবীরা। প্রশ্ন উঠেছে, কী ভাবে প্রশাসনের নজর এড়িয়ে এ ভাবে হাঙর শিকার চলছে!নজরদারি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। মৎস্যজীবী শ্রমিক সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, ছোট হাঙর মাছ ধরায় কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। আর মৎস্যজীবীরা তা ইচ্ছাকৃত ধরেন না। জালে উঠে আসে। বড় মাছ ধরার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

    স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, কাকদ্বীপ এবং আশপাশের বাজারগুলিতে দেদার বিক্রি হচ্ছে হাঙর মাছ। সাধারণ মানুষ অনেক সময় না বুঝেই কিনে ফেলছেন এই মাছ।

    বিজ্ঞান মঞ্চের সৌম্যকান্তি জানার মতে, এভাবে হাঙর শিকার চলতে থাকলে খুব শীঘ্রই সমুদ্রের বাস্তুতন্ত্র ভেঙে পড়বে। হাঙর সমুদ্রের ‘টপ প্রিডেটর’ (সর্বোচ্চ খাদক)। তারা হারিয়ে গেলে খাদ্যশৃঙ্খল পুরোপুরি বিপর্যস্ত হবে। কাকদ্বীপের এক মৎসজীবী জানান, তিনি হাঙর মাছ ধরার উপরে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কিছুই জানতেন না।

    সুন্দরবন সামুদ্রিক মৎস্যজীবী শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক সতীনাথ পাত্র জানান, ছোট হাঙর ধরার ক্ষেত্রে কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। বড় মাছ ধরা বারণ। ছোট হাঙর মৎস্যজীবীদের জালে আটকে যায়। কাকদ্বীপ মৎস্যজীবী কল্যাণ সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, এই ছোট মাছ ধরার ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধ প্রয়োগ করা দরকার। প্রশাসনের সে দিকে নজর রাখা উচিত।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)