• ‘অভিনয় যতটা ইমোশনাল, তার থেকে বেশি টেকনিক্যাল’ - কেরিয়ারের নানা ওঠা-পড়া নিয়ে আড্ডা দিলেন অভিনেতা অনির্বাণ চক্রবর্তী
    বর্তমান | ১৩ অক্টোবর ২০২৫
  • এখন কি আপনি জটায়ু সত্তায় বিরাজমান?

    হা হা হা...। সবেমাত্র রিলিজ হওয়া কাজ আড্ডা টাইমসের ‘ফেলুদা’। ফলে এখন জটায়ু সত্তায় রয়েছি।

    চরিত্র কি সঙ্গে থেকে যায়?

    এই ব্যাপারটা মঞ্চের ক্ষেত্রে একরকম। আর স্ক্রিনের ক্ষেত্রে একরকম। স্ক্রিনের ক্ষেত্রে শ্যুটিং অনেক আগে হয়। ফলে দর্শক যখন দেখেন, তখন পর্যন্ত চরিত্র বয়ে বেড়ানোর অভিজ্ঞতা হয়নি। কিন্তু শ্যুটিংয়ের সময় বা তা শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও চরিত্রের রেশ থাকে। আমার মনে হয়, অভিনয় করা যতটা ইমোশনাল তার থেকে বেশি টেকনিক্যাল। যখন শট দিচ্ছি, তখনও আমি চরিত্র নই, অনির্বাণ। নিজের মতো তো অভিনয় করছি না। কেউ পরিচালনা করছেন। ক্লোজ আপ হচ্ছে নাকি লং শট— সেই নির্দেশ বোঝার জন্য অনির্বাণই থাকতে হবে। এটা খুব সূক্ষ্ম লাইন। কোনও চরিত্রই অনির্বাণ নয়। আবার প্রতি চরিত্রের মধ্যেই একটু করে অনির্বাণ থেকে যায়। একই চরিত্র অন্য অভিনেতা করলে অন্যরকম হবেই।

    ‘জটায়ু’ এবং ‘একেন’ গুলিয়ে ফেলার ভয় ছিল?

    যখন আমাকে ‘জটায়ু’ হিসেবে কাস্ট করা হল তার আগে ‘একেন’ করে ফেলেছি। ভেবে দেখলাম জটায়ু এবং একেন মানুষ হিসেবে আলাদা। ফলে চোখ, বাচনভঙ্গি আপনাআপনিই বদলে যায়। দুটো চরিত্র আলাদা করতে আমার কোনও অসুবিধা হয়নি।

    ‘জটায়ু’র রেসপন্স কেমন?

    ‘একেন’ আমিই প্রথম করেছি। কারও কাছে কোনও রেফারেন্স ছিল না। ‘জটায়ু’ অনেকে করেছেন। বাঙালির চেনা চরিত্র। দর্শক পড়েছেন, দেখেছেন। ফলে রেফারেন্স সকলের মাথায় রয়েছে। অন্যদের তুলনায় আলাদা কিছু করার সচেতন প্রয়াস তো আমার ছিলই। এমন কিছু হয় না, যা সবার ভালো লাগবে অথবা খারাপ লাগবে। এক্ষেত্রেও সেটা সত্যি। প্রবল ভালোবাসা আমি পেয়েছি। আবার ভালো লাগেনি, এটাও মানুষ জানিয়েছেন।

    অভিনয়ের পাশাপাশি পরিচালনার কথা ভাবছেন?

    না। অভিনেতা হিসেবেও কাজ করতে করতে শিখছি। পড়াশোনা করে তো আসিনি। অভিনয় করা যেমন টেকনিক্যাল। পরিচালনা আরও টেকনিক্যাল। প্রতিটা বিভাগ সম্পর্কে পরিচালকের স্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। সেগুলো আমি জানিই না।

    জটায়ুর কোন গুণ আয়ত্ত করতে চান?

    জটায়ু ভিতরে ও বাইরে একদম এক। তেমনটা হতে চাই। আমিও সহজ মানুষ। কিন্তু জটায়ুর মতো সহজ নই (হাসি)।
  • Link to this news (বর্তমান)