এসএসসি-র গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও হস্তক্ষেপ করল না সুপ্রিম কোর্ট। শিক্ষক নিয়োগের মতো এ ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হোক, এই আবেদনকে সামনে রেখে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ‘যোগ্য’ শিক্ষাকর্মীদের একাংশ। সোমবার মামলাটি ওঠে বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি অলোক আরাধের বেঞ্চে। আদালত জানায়, মূল মামলার রায় ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। তার পরেও কেন এই নিয়ে বার বার আদালতে আবেদন করা হচ্ছে?
২০১৬ সালের এসএসসি-র গোটা নিয়োগ প্যানেল বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এর ফলে চাকরিহারা হয়েছিলেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী। সুপ্রিম কোর্ট এই নির্দেশের ফলে তৈরি হওয়া শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল। কিন্তু শিক্ষাকর্মী নিয়োগের কোনও সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি।
মামলাকারীদের আবেদন ছিল, দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। শিক্ষক নিয়োগের মতো শিক্ষাকর্মী নিয়োগেও সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হোক, এই আবেদনও জানিয়েছিলেন তাঁরা। মামলাকারীদের বক্তব্য ছিল, যেহেতু এ ক্ষেত্রে কোনও নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই, তাই নিয়োগ নিয়ে কোনও নিশ্চয়তা তাঁরা পাচ্ছেন না। যদিও এই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। উল্লেখ্য, গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি পদে নিয়োগের জন্য ইতিমধ্যেই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কমিশন। ৩ নভেম্বর থেকে গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি পদে নিয়োগের জন্য আবেদনপত্র গ্রহণ শুরু হতে চলেছে। তা চলবে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত। গ্রুপ সি (ক্লার্ক) শূন্যপদ ২৯৮৯টি এবং গ্রুপ ডি-র শূন্যপদ ৫৪৮৮টি।