করুর পদপিষ্টের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট ...
আজকাল | ১৩ অক্টোবর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: সোমবার, ১৩ অক্টোবর, করুর মর্মান্তিক পদপিষ্টের মৃত্যুর ঘটনায় সুপ্রিম কোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। গত ২৭ সেপ্টেম্বর তামিলাগা ভেত্রি কাজগম (টিভিকে)–এর এক জনসভায় ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনায় অন্তত ৪১ জন প্রাণ হারান। আদালত জানিয়েছে, এই তদন্তের তত্ত্বাবধানে থাকবে তিন সদস্যের একটি কমিটি, যার নেতৃত্ব দেবেন প্রাক্তন সুপ্রিম কোর্ট বিচারপতি অজয় রাস্তোগি। কমিটিতে থাকবেন আরও দুই জন উচ্চপদস্থ ভারতীয় পুলিশ আধিকারিক, যাঁদের পদ মর্যাদা আইজিপি বা তার ঊর্ধ্বে হবে। তাঁরা তামিলনাড়ু ক্যাডারের হতে পারেন, তবে রাজ্যের স্থানীয় বাসিন্দা হওয়া চলবে না। এই দুই জন অফিসারকে বিচারপতি রাস্তোগি নিজে বাছাই করবেন।
বার অ্যান্ড বেঞ্চ সূত্রে জানা গিয়েছে, টিভিকে নেতৃত্বের পক্ষে করা একটি আবেদন শোনার পর এই নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। তামিল অভিনেতা বিজয়ের নেতৃত্বাধীন দলটি এর আগে মাদ্রাজ হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেছিল, যেখানে ঘটনাটির তদন্তের জন্য একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (এসআইটি) গঠনের কথা বলা হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট আগেই হাইকোর্টের পরস্পরবিরোধী নির্দেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল, কারণ মাদুরাই বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের আবেদন খারিজ করেছিল, অথচ হাইকোর্টের প্রধান বেঞ্চ এসআইটি গঠনের নির্দেশ দেয়।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, সিবিআই প্রতি মাসে তাদের তদন্তের অগ্রগতি রিপোর্ট ওই তদারকি কমিটির কাছে জমা দেবে। বিচারপতি রাস্তোগির নেতৃত্বাধীন কমিটি নিজস্ব অনুসন্ধান প্রক্রিয়া এবং পদ্ধতি নির্ধারণ করবে।
এর আগে মাদ্রাজ হাইকোর্ট করুরে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার পর টিভিকে নেতৃত্বের আচরণের কড়া সমালোচনা করেছিল। যদিও বিজয় নিজে কোনো এফআইআরে অভিযুক্ত নন, তবু আদালত রাজ্য প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছিল বিজয়ের প্রচারযাত্রার সঙ্গে যুক্ত দুটি হিট-অ্যান্ড-রান ঘটনার বিষয়ে ফৌজদারি মামলা দায়ের করতে। সেই অনুযায়ী বিজয়ের প্রচারযাত্রার গাড়ির চালকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, তামিল সিনেমা জগতের অন্যতম জনপ্রিয় তারকা বিজয় কয়েক মাস আগেই তাঁর রাজনৈতিক দল ‘তামিলাগা ভেত্রি কাজগম’ গঠন করেন এবং রাজ্যজুড়ে ব্যাপক জনসভা করছেন। করুরের সভায় বিপুল জনসমাগমের মধ্যেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে, যা রাজ্যজুড়ে তীব্র ক্ষোভ ও উদ্বেগের জন্ম দেয়। সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের ফলে এখন সিবিআইয়ের নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমেই ঘটনার প্রকৃত কারণ ও দায় নির্ধারণের আশা করছেন নিহতদের পরিজন ও সাধারণ মানুষ।