উত্তরবঙ্গের বিপর্যস্ত এলাকার জন্য ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ৩ নভেম্বরের পরিবর্তে বিপর্যস্ত এলাকার জন্য ৬ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে এই প্রকল্প। রবিবার উত্তরবঙ্গ সফরে রওনা হওয়ার আগে এই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি রাজ্য সরকারের এই উন্নয়নমূলক প্রকল্প নিয়ে একাধিক তথ্য তুলে ধরেছেন।
মমতা জানিয়েছেন, ২ আগস্ট থেকে ৩ নভেম্বরের মধ্যে ৩১ হাজার ৭০০টি শিবির করার পরিকল্পনা ছিল। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন বুথে ২৮ হাজার ২৯৯টি শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। অর্থাৎ প্রায় ৯০ শতাংশ বুধে শিবির সম্পন্ন হয়েছে। এই শিবিরগুলিতে মোট ২ কোটি ২০ লক্ষের বেশি মানুষ অংশগ্রহণ করেছেন।
আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান প্রকল্পের একাধিক তথ্য নিয়ে একটি প্রেস বিবৃতি প্রকাশ করেছেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। সেই তথ্যই রবিবার সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন মমতা। তিনি জানিয়েছেন, এই প্রকল্পের প্রতিটি বুথের জন্য ১০ লক্ষ টাকা করে বরাদ্দের ঘোষণা করা হয়েছিল। গোটা প্রকল্পটিতে মোট ৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। প্রকল্পটি ৬ নভেম্বর পর্যন্ত চলার কথা ছিল। কিন্তু উত্তরবঙ্গের বিপর্যস্ত এলাকার জন্য সেই মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির সদস্যদের আধার, ভোটার কার্ড সহ অন্যান্য নথি তৈরি সংক্রান্ত কাজ করে দিতে স্পেশাল শিবিরের আয়োজন করা হবে।
মমতা আরও জানিয়েছেন, আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান শিবিরে অংশগ্রহণকারীদের প্রায় ৩.৫৮ লক্ষ দাবি এসেছে। তার মধ্যে ২.৮৪ লক্ষ দাবির স্কিম ইতিমধ্যেই দিয়ে দেওয়া হয়েছে। টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে ১.৮৬ লক্ষ প্রকল্পের। ১০০ টি প্রকল্প ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে। সামগ্রিকভাবে আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে ৯৪.৭ লক্ষ। এর মধ্যে ৭৭.৪ লক্ষ আবেদনের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ আবেদনের প্রায় ৮১ শতাংশ কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের শিকার এলাকায় এই প্রকল্পের শিবির থেকে আরও বেশি করে কাজ করা হচ্ছে। সেই সব এলাকায় প্রকল্পের মেয়াদ আরও ৩ দিন বাড়ানো হয়েছে।
মুখ্যসচিবের জারি করা প্রেস বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, উত্তর ২৪ পরগনায় সবথেকে বেশি ২৯৯০টি আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান প্রকল্পের শিবির হয়েছে। এরপর দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ২৩৪৯ টি শিবির হয়েছে। মুর্শিদাবাদ রয়েছে ৩ নম্বর স্থানে। এই জেলায় মোট ২৩০৯টি শিবির হয়েছে। পাশাপাশি পশ্চিম মেদিনীপুরের শিবিরগুলিতে মোট ২৮.৯ লক্ষ মানুষ অংশগ্রহণ করেছেন। জেলাগুলির মধ্যে যা সর্বাধিক।