সৌরভ চৌধুরী: বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা ভোট। ছাব্বিশের আগে জঙ্গলমহলে গেরুয়াশিবিরে ভাঙন অব্য়াহত। রীতিমতো সংগঠন খালি করে বিজেপি থেকে তৃণমূলের যোগদানে হিড়িক! বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চ বদলে গেল দলবদলের মঞ্চে। নয়াগ্রামের পর গোপীবল্লভপুর।
পুজো শেষে। জেলায় জেলায় এখন বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করছে তৃণমূল। ব্যতিক্রম নয় ঝাড়গ্রাম জেলাও। আজ, সোমবার বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠিত হল গোপীবল্লভপুরের তপশিয়ায় অঞ্চল। সেই বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন ২৫ পরিবারের প্রায় ৭৫ জন। তাঁদের হাতে পতাকা তুলে দেন দলের জেলা নেতারা। উপস্থিত ছিলেন ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি চিন্ময়ী মারান্ডি, গোপীবল্লভপুরের বিধায়ক ডা. খগেন্দ্রনাথ মাহাতো, নায়াগ্রামের বিধায়ক দুলাল মুর্মু,সহ অন্যন্য নেতারা।
এর আগে, গতকাল রবিবার ঝাড়গ্রামেরই নয়াগ্রামের বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চে বদলবদলের করেছিলেন শতাধিক বিজেপি কর্মী। তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্বের দাবি, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে বিজেপি ছাড়ছেন নিচুতলার কর্মীরা। পালটা কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি।
এদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরেও বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চে দলবদল করলেন স্থানীয় প্রতাপনগর পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্য কার্তিক সরদার। আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূলে যোগ দিলেন তিনি। কার্তিকের সাফ কথা, এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে তিনি তৃণমূলেই বেশি ভরসা পাচ্ছেন। এই দলবদলকে অবশ্য 'ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত' বলেই দাবি করেছে বিজেপি। দলের জেলা সভাপতি বলেন, 'আদর্শে মিল হয়নি, তাই তিনি যেখান থেকে এসেছিলেন সেখানেই ফিরে গিয়েছেন। বিষয়টি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত'। তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, সোনারপুরে বিজেপির সংগঠন কার্যত আরও দুর্বল হল এই যোগদানে।