‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, জীবনের শেষদিন পর্যন্ত লড়ব’, IRCTC মামলায় বিজেপিকে তোপ তেজস্বীর
প্রতিদিন | ১৩ অক্টোবর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে অস্বস্তিতে পড়েছে রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি)। সোমবার আইআরসিটিসি মামলায় লালু প্রসাদ যাদবের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছে দিল্লির রাউস অ্যাভেনিউ আদালত। লালুর পাশাপাশি চার্জ গঠন করা হয়েছে তাঁর পুত্র তেজস্বী যাদব এবং স্ত্রী রাবরি দেবীর বিরুদ্ধেও। বিষয়টি নিয়ে এবার সরাসরি বিজেপিকে তোপ দাগলেন তেজস্বী। জানান, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা শিকার। জীবনের শেষদিন পর্যন্ত লড়ব।
তেজস্বী বলেন, “আদালতের রায়কে আমরা সম্মান করি। এই মামলা আমরা লড়ব। আমরা শুরু থেকেই বলে আসছি যে নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে তত এধরনের জিনিসপত্র ঘটবে। বিহারের মানুষ বুদ্ধিমান। তাঁরা জানে কী ঘটছে। আমরা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। জীবনের শেষদিন পর্যন্ত লড়ে যাব।” এরপরই লালুর প্রশংসা করে তিনি বলেন, “বাবা সবচেয়ে জনপ্রিয় রেলমন্ত্রী ছিলেন। তিনি রেলকে ৯০ হাজার কোটি টাকা মুনাফা এনে দিয়েছিলেন। প্রতিটি বাজেটে তিনি রেলের ভাড়া কমিয়েছেন। হার্ভার্ড এবং আইআইএম-এর ছাত্রছাত্রীরা তাঁর কাছে পড়াশোনা করতে আসতেন। বিহার এবং দেশের মানুষ সত্যটা জানেন।“
সোমবার, দিল্লির রাউস অ্যাভেনিউ আদালতের বিচারপতি বিশাল গোঙ্গে লালু তাঁর স্ত্রী এবং পুত্রের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। যদিও, লালু, তেজস্বী এবং রাবরি দেবী সকলেই নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন। রাবড়ি দেবীর দাবি, মামলাটি ‘ভুয়ো’। লালু যাদব এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রতারণা এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের ধারার চার্জ গঠন করেছে আদালত। পাশাপাশি দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ধারাও যুক্ত করা হয়েছে।
২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত রেলমন্ত্রী ছিলেন লালু যাদব। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, এই সময়কালে আইআরসিটিসি-র হোটেলগুলির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যে চুক্তি বরাদ্দ করা হয়, সেখানে দুর্নীতি করেছেন লালু। আইআরসিটিসি-র দুটি হোটেল, বিএনআর পুরি এবং বিএনআর রাঁচির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পায় সুজাতা হোটেল। অভিযোগ, সেই চুক্তি পাইয়ে দেওয়ার জন্য বেনামি সংস্থার মাধ্যমে বহুমূল্যের তিন একর জমি নিয়েছেন লালু।
২০১৭ সালে লালু যাদব এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে সিবিআই। দিল্লি কোর্টকে সিবিআই জানিয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের জন্য যথেষ্ট সাক্ষ্য-প্রমাণ রয়েছে। যদিও, এই দাবি নস্যাৎ করে দিয়েছেন লালুর আইনজীবী। তাঁর দাবি এই টেন্ডারে কোনও দুর্নীতি হয়নি। সঠিক পদ্ধতিতে সেই টেন্ডার পাশ করা হয়।