তুফানগঞ্জের বিজেপি বিধায়ক মালতী রাভা রায়কে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, সোমবার দুর্গাপুরের ‘গণধর্ষণে’র ঘটনা নিয়ে তুফানগঞ্জ থানা ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দেয় বিজেপি। সেই কর্মসূচিতে যোগ দিতে বিজেপি পার্টি অফিসে উপস্থিত হন বিজেপি নেতৃত্ব এবং তুফানগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক মালতী রাভা রায়।
বিজেপি কার্যালয়ের সামনে কোচবিহারের বিজেপি বিধায়ক মালতী রাভা রায়কে ঘিরে গো ব্যাক স্লোগান দেয় তৃণমূল। এই ঘটনায় উত্তেজনার তৈরি হয় তুফানগঞ্জ শহরের বিজেপি পার্টি অফিসের সামনে। বিজেপির দাবি, তাদের কর্মী এবং সমর্থকদের ব্যপক মারধর করেছে তৃণমূল। বিজেপির দাবি, পুলিশের উপস্থিতিতেই দলের নেতা নিখিল ডাকুয়া-সহ অন্যান্যদের রাস্তায় ফেলে মারধর করে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা। দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতিও হয়। এই ঘটনায় তুফানগঞ্জের প্রধান রাস্তা আটকে যায় বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রসঙ্গত, রবিবার ৫ অক্টোবর ভয়াবহ পরিস্থিতির সাক্ষী থেকেছে উত্তরবঙ্গ। দুর্যোগ কবলিত নাগরাকাটা পরিদর্শনে যান মালদহ উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু এবং শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ। কিন্তু বামনডাঙায় ঢোকার সময় হঠাৎ করেই তাঁদের লক্ষ্য করে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। লাঠি, জুতো হাতে বিজেপি নেতাদের উপর চলে হামলা। শুধু তাই নয়, গাড়ি থেকে নামতেই তাঁদের লক্ষ্য করে শুরু হয় ইট বৃষ্টি। রক্তাক্ত পরিস্থিতি হয় বিজেপি সাংসদের। ইটের আঘাতে খগেন মুর্মুর চোখের নিচে হাড় ভেঙেছে। বর্তমানে শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে খগেন মুর্মু চিকিৎসাধীন থাকলেও ছাড়া পেয়েছেন শংকর ঘোষ।