কসবা ল' কলেজে ধর্ষণকাণ্ডে জামিন একজনের, গুরুতর অভিযোগ করেছিল পুলিশ
হিন্দুস্তান টাইমস | ১৩ অক্টোবর ২০২৫
কলকাতার কসবায় কলেজ ধর্ষণ মামলার মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র এবং তার দুই সঙ্গী প্রমিত মুখোপাধ্যায় ও জাইব আহমেদ। এদিকে এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছিল কলেজের নিরাপত্তারক্ষী পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাঁর বিরুদ্ধে দায়িত্বে গাফিলতির অভিযোগ আছে। চার্জশিটে পুলিশ বলে, কাউকে কিছু না নিয়ে বা পুলিশ না ডেকে নিরাপত্তারক্ষী গার্ডরুম বন্ধ করে রেখেছিল। তবে সেই পিনাকীর জামিন হয়ে গেল। অবশ্য মনোজিৎ, প্রমিত, জাইবরা এখনও জেলেই থাকবে।
এদিকে এই মামলায় দাখিল করা ৬৫০ পৃষ্ঠার চার্জশিটে কলকাতা পুলিশ দাবি করেছে, নির্যাতিতার মেডিক্যাল পরীক্ষায় ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে এবং অভিযুক্তের ডিএনএ ফরেনসিক নমুনার সাথে মিলেছে। এদিকে কলকাতার কসবা ল কলেজ ধর্ষণ মামলার প্রধান অভিযুক্ত নির্যাতিতার একাধিক ভিডিয়ো তৈরি করেছিল এবং তারা তা দিয়ে নির্যাতিতাকে ব্ল্যাকমেল করছিল। ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করা হয়, যেখানে নির্যাতিতাকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে অভিযুক্তদের। অন্য অভিযুক্তদের মোবাইল ফোন থেকে নির্যাতিতার অনেক অশ্লীল ভিডিয়ো উদ্ধার করা হয়েছে। চার্জশিটে বলা হয়েছে, এই ভিডিয়োগুলি অভিযুক্তরা দেওয়ালে এক্সস্ট ফ্যানের ছিদ্র থেকে রেকর্ড করেছিল। ভিডিয়োগুলিতে অভিযুক্তের কণ্ঠস্বর রয়েছে এবং কণ্ঠস্বরের নমুনাগুলি মিলে গেছে।
নির্যাতিতা ছাত্রী জানিয়েছিলেন, গত ২৫ জুন দুপুর ১২টা ০৫ মিনিট নাগাদ তিনি কলেজে ঢোকেন। কলেজে কিছু কাজ মিটিয়ে ইউনিয়ন রুমে বসে ছিলেন তিনি। সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ তিনি বাড়ি যাওয়ার জন্য তোড়জোড় শুরু করেন। তখন তাঁকে আর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে বলেছিল অভিযুক্তরা। এরপর তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল দাপুটে টিএমসিপি নেতা। পরে ধর্ষণ করা হয়েছিল সেই ছাত্রীকে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত ১০টা ৫০ মিনিট, প্রায় ৩ ঘণ্টা ২০ মিনিট ধরে কলেজের গার্ডস রুমে অকথ্য নির্যাতন চলে। পুলিশ সেই সব দাবির সত্যতা যাচাই করেছে। এই আবহে মনোজিতের বিরুদ্ধে ৯টি ধারা, প্রমিত ও জাইবের বিরুদ্ধে ৬টি ধারা, বাকি পিনাকীর বিরুদ্ধে ৭টি ধারা দিয়ে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ। মামলায় গণধর্ষণ ছাড়াও জোর করে আটকে রাখা, বিপজ্জনকভাবে গুরুতর আঘাত করা, প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি, অপহরণ এবং একই উদ্দেশ্যে একাধিক ব্যক্তি অপরাধ সংগঠিত করার মতো একাধিক ধারা প্রয়োগ করেছে পুলিশ।