• চাঁদ দেখে আর স্বামীর মুখ দেখা হল না, উপোস করে নাচতে নাচতেই ঠাস করে পড়লেন, করবা চৌথে মর্মান্তিক পরিণতি গৃহবধূর
    আজকাল | ১৪ অক্টোবর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: চাঁদ দেখে স্বামীর মুখ দেখার কথা ছিল। সারাদিন উপোস ছিলেন স্বামীর দীর্ঘায়ু কামনায়। ব্রত পালনের মাঝেই ঘটল বিপত্তি। উপোস করে নাচতে নাচতে জ্ঞান হারিয়ে লুটিয়ে পড়েন ৫৯ বছরের এক প্রৌঢ়া। মুহূর্তের মধ্যে মর্মান্তিক পরিণতি হল তাঁর। করবা চৌথের দিনেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়লেন তিনি। 

    সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে পাঞ্জাবে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, করবা চৌথে অর্থাৎ গত শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে বারনালা জেলায়। ১০ অক্টোবর করবা চৌথ উপলক্ষে ধুমধাম আয়োজন হয়েছিল বাড়িতে ও প্রতিবেশীদের ঘরে। আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে হুল্লোড়ে মেতেছিলেন এক প্রৌঢ়া। স্বামীর দীর্ঘায়ু কামনায় উপোস করেছিলেন। করবা চৌথের রাতে নাচতে নাচতেই মর্মান্তিক পরিণতি হল ৫৯ বছরের গৃহবধূর। 

    আরও জানা গেছে, মৃত গৃহবধূর নাম, আশা রানি। করবা চৌথে পছন্দের হলুদ রঙের শাড়িতে সেজেছিলেন তিনি। করবা চৌথ পালন করতে গিয়েছিলেন প্রতিবেশীর বাড়িতে। সঙ্গে ছিলেন স্বামী ও নাতনিরাও। উপোস রেখেই নাচ করছিলেন তিনি। তখনও চাঁদ দেখে উপোস ভাঙেননি। প্রতিবেশীর বাড়ির ছাদে তুমুল নাচানাচি করছিলেন। নাচতে নাচতে আচমকাই জ্ঞান হারিয়ে লুটিয়ে পড়েন তিনি। 

    তৎক্ষণাৎ প্রতিবেশীরাই ওই প্রৌঢ়াকে উদ্ধার করেন। তড়িঘড়ি করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে যাওয়ার পরেই, চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন আশা রানির পরিবার।‌ এলাকায় সুনাম ছিল তাঁদের। করবা চৌথেই গৃহবধূর মর্মান্তিক পরিণতিতে শোকের ছায়া গোটা এলাকায়। 

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরে করবা চৌথে আরও একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে। করবা চৌথ বলে কথা। বিয়ের পর প্রথমবার করবা চৌথ উদযাপন করবেন বলে পরিকল্পনা ছিল তরুণীর। কিন্তু সেদিনই সব শেষ! স্বামীর উপর অভিমানে নিজেকেই শেষ করলেন ২৫ বছর বয়সি এক তরুণী। তাও আবার করবা চৌথের দিনেই। 

    সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরে। ২৫ বছর বয়সি তরুণীর নাম বাবলি। ১০ মাস আগেই ধর্মপালের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। তাঁদের বিয়ের পর এটিই ছিল প্রথম করব চৌথ। ধুমধাম করে করবা চৌথ উদযাপন করার ইচ্ছে ছিল বাবলির। করবা চৌথের জন্য স্বামীর কাছে আবদার করেছিলেন নতুন শাড়ি কিনে দেওয়ার জন্য। সেই নতুন শাড়ি পরেই করবা চৌথ পালন করার ইচ্ছে ছিল তরুণীর। কিন্তু আবদার রাখেননি ধর্মপাল। 

    করবা চৌথ উপলক্ষে বাবলিকে কোনও নতুন শাড়ি কিনে দেননি। সেই রাগে, দুঃখে করবা চৌথের দিনেই ধর্মপালের সঙ্গে তুমুল ঝামেলা করেন বাবালি। দু'জনেই বচসা এমন পর্যায়ে পৌঁছয়, যা সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খান পরিবারের সদস্যরা। ধর্মপালের সঙ্গে বচসার পরেই চরম পদক্ষেপ করেন বাবলি। করবা চৌথের দিনেই বাড়ির মধ্যে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন তিনি। ঝগড়ার কয়েক ঘণ্টা পর বাবলিকে খুঁজতে যান ধর্মপাল। ঘরের দরজা খুলতেই বাবলির ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। 

    খবর পেয়ে স্থানীয়রাও ছুটে আসেন। এলাকায় ব্যাপক শোরগোল ছড়িয়ে পড়ে। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। তরুণীর দেহ উদ্ধার করে দ্রুত ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় তারা। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর সুস্পষ্ট কারণ জানাবে পুলিশ। ঘটনাটি ঘিরে রীতিমতো হতবাক পরিবারের সদস্যরা। তবে বাবলির আত্মীয়রা জানিয়েছেন, বিয়ের কয়েক সপ্তাহ পর থেকেই ধর্মপালের সঙ্গে তাঁর মাঝেসাঝেই ঝামেলা হত। নবদম্পতির মধ্যে মতের অমিল হলেই তুমুল অশান্তি হত। কিন্তু করবা চৌথের দিনেই অশান্তির জেরে তরুণীর এমন চরম পদক্ষেপ করবেন, তা কল্পনাতীত সকলের কাছে। 
  • Link to this news (আজকাল)