প্রেমিকার সঙ্গে চুটিয়ে শপিং স্বামীর, পিছন থেকে খপ করে ধরলেন স্ত্রী, দেড় ঘণ্টা ভরা রাস্তায় হাইভোল্টেজ ঝামেলা...
আজকাল | ১৪ অক্টোবর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: করবা চৌথে স্বামীর দীর্ঘায়ু কামনায় উপোস করেছিলেন স্ত্রী। রাস্তায় পা রাখা মাত্রই মাথায় বাজ পড়ার মতো অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হলেন তিনি। রাস্তায় ঘুরে ঘুরে প্রেমিকার সঙ্গে চুটিয়ে শপিং করছিলেন স্বামী। দেখেই রাগে ফুঁসতে থাকেন স্ত্রী। অবশেষে কাছে গিয়েই খপ করে ধরে ফেলেন স্বামীকে। তারপরেই হাইভোল্টেজ ড্রামা!
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে ইন্দোরে। গত শুক্রবার করবা চৌথের দিনেই প্রেমিকার সঙ্গে স্বামীকে ভরা রাস্তায় হাতেনাতে ধরে ফেলেন স্ত্রী। করবা চৌথের রাতে প্রেমিকার সঙ্গে কেনাকাটা করতে বেরিয়েছিলেন এক যুবক। তবে টের পাননি স্ত্রী চুপিচুপি তাঁর উপর নজরদারি চালাচ্ছিলেন। প্রেমিকার সঙ্গে স্বামীকে হাতেনাতে ধরতেই তুলকালাম কাণ্ড ভরা রাস্তায়।
১০ অক্টোবর শুক্রবার রাতেই ঘটনাটি ঘটেছে ইন্দোরের নন্দ নগর এলাকায়। সেই এলাকাতেই প্রেমিকার সঙ্গে স্বামীকে কেনাকাটা করতে দেখেন স্ত্রী। তারপরেই হাইভোল্টেজ ঝামেলার নাটকীয় মোড়। প্রায় ঘণ্টা খানেক স্বামী ও স্ত্রীর ঝামেলা দেখে চক্ষু চড়কগাছ পথচলতি মানুষের।
জানা গেছে, করবা চৌথে প্রেমিকার সঙ্গে স্বামীকে দেখেই, পিছন থেকে খপ করে স্বামীর হাত ধরে ফেলেন স্ত্রী। এরপর শুরু হয় কথা কাটাকাটি, হাতাহাতি। অন্যদিকে স্বামীর আরেক হাত ধরে তাঁর পিছনেই লুকিয়ে থাকেন তাঁর প্রেমিকা। গোটা ঝামেলা চলাকালীন যুবকের প্রেমিকা পালিয়ে যাননি। বরং যুবকের সঙ্গেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। ঝামেলা শেষ হলে, একসঙ্গেই হয়তো যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল।
এদিকে স্বামীর থেকে জবাবদিহি চাইতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন স্ত্রী। দিনের পর দিন প্রতারণার শিকার হয়ে, রাস্তার মাঝেই স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া শুরু করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দেড় ঘণ্টা ওই রাস্তায় ঝামেলা করছিলেন স্বামী, স্ত্রী। যা দেখে সকলেই তাজ্জব বনে যান। আরও জানা গেছে, ওই যুবকের নাম সন্দীপ শামি। তিনি আরবান অ্যাডিমিনিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্টের কর্মী। করবা চৌথে প্রেমিকার সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়েই চরম হেনস্থার শিকার হন।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরে করবা চৌথে আরও একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে। করবা চৌথ বলে কথা। বিয়ের পর প্রথমবার করবা চৌথ উদযাপন করবেন বলে পরিকল্পনা ছিল তরুণীর। কিন্তু সেদিনই সব শেষ! স্বামীর উপর অভিমানে নিজেকেই শেষ করলেন ২৫ বছর বয়সি এক তরুণী। তাও আবার করবা চৌথের দিনেই।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরে। ২৫ বছর বয়সি তরুণীর নাম বাবলি। ১০ মাস আগেই ধর্মপালের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। তাঁদের বিয়ের পর এটিই ছিল প্রথম করব চৌথ। ধুমধাম করে করবা চৌথ উদযাপন করার ইচ্ছে ছিল বাবলির। করবা চৌথের জন্য স্বামীর কাছে আবদার করেছিলেন নতুন শাড়ি কিনে দেওয়ার জন্য। সেই নতুন শাড়ি পরেই করবা চৌথ পালন করার ইচ্ছে ছিল তরুণীর। কিন্তু আবদার রাখেননি ধর্মপাল।
করবা চৌথ উপলক্ষে বাবলিকে কোনও নতুন শাড়ি কিনে দেননি। সেই রাগে, দুঃখে করবা চৌথের দিনেই ধর্মপালের সঙ্গে তুমুল ঝামেলা করেন বাবালি। দু'জনেই বচসা এমন পর্যায়ে পৌঁছয়, যা সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খান পরিবারের সদস্যরা। ধর্মপালের সঙ্গে বচসার পরেই চরম পদক্ষেপ করেন বাবলি। করবা চৌথের দিনেই বাড়ির মধ্যে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন তিনি। ঝগড়ার কয়েক ঘণ্টা পর বাবলিকে খুঁজতে যান ধর্মপাল। ঘরের দরজা খুলতেই বাবলির ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান।
খবর পেয়ে স্থানীয়রাও ছুটে আসেন। এলাকায় ব্যাপক শোরগোল ছড়িয়ে পড়ে। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। তরুণীর দেহ উদ্ধার করে দ্রুত ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় তারা। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর সুস্পষ্ট কারণ জানাবে পুলিশ। ঘটনাটি ঘিরে রীতিমতো হতবাক পরিবারের সদস্যরা। তবে বাবলির আত্মীয়রা জানিয়েছেন, বিয়ের কয়েক সপ্তাহ পর থেকেই ধর্মপালের সঙ্গে তাঁর মাঝেসাঝেই ঝামেলা হত। নবদম্পতির মধ্যে মতের অমিল হলেই তুমুল অশান্তি হত। কিন্তু করবা চৌথের দিনেই অশান্তির জেরে তরুণীর এমন চরম পদক্ষেপ করবেন, তা কল্পনাতীত সকলের কাছে।