জগদ্ধাত্রী শোভাযাত্রায় থাকবে না বিদ্যুৎ বিভ্রাট, প্রশাসনিক বৈঠকে নেওয়া হল সিদ্ধান্ত ...
আজকাল | ১৪ অক্টোবর ২০২৫
মিল্টন সেন, হুগলি, ১৩ অক্টোবর: আন্ডারগ্রাউন্ড কেবলিং এর কাজ শেষ। জগদ্ধাত্রী পুজো চলাকালীন কখনই আর বিদ্যুৎ বন্ধ হবে না। পরিষেবা সচল রেখেই, ধুমধাম করে হবে শোভাযাত্রা। সোমবার সন্ধেয় জগদ্ধাত্রী পুজো নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হল চন্দননগর রবীন্দ্র ভবনে।
আসন্ন জগদ্ধাত্রী পুজো। আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। লক্ষ লক্ষ মানুষের ঢল নামবে হুগলির চন্দননগর, মানকুণ্ডু এবং ভদ্রেশ্বরে। তাই প্রশাসনিক উদ্যোগে পুজোয় আরও বাড়তি নিরাপত্তা বন্দোবস্ত নিয়ে অনুষ্ঠিত হল বৈঠক। উপস্থিত ছিলেন সমস্ত পুজো কমিটির উদ্যোক্তারা। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা চন্দননগরের বিধায়ক ইন্দ্রনীল সেন, চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি, জেলাশাসক মুক্তা আর্য্য, চন্দননগরের মহানাগরিক রাম চক্রবর্তী, উপ মহানাগরিক মুন্না আগরওয়াল, ভদ্রেশ্বর পুরসভার পুরপ্রধান প্রলয় চক্রবর্তী, বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিক সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা। বৈঠকে আলোচনা করা হয় অনলাইনে পুজোর অনুমতি সংক্রান্ত নানান বিষয় নিয়ে। পুলিশের তরফে আবেদন করার প্রক্রিয়া পুজো কমিটির উদ্যোক্তাদের দেখিয়ে দেওয়া হয়। পুজো কমিটির তরফে বিভিন্ন বিষয়ে আবেদন জানানো হয় প্রশাসনের কাছে। সেগুলিও আলোচনার মাধ্যমে সুরাহা করা হয় এই বৈঠকে। সোমবার বিদ্যুৎ দপ্তরের রিজিওনাল ম্যানেজার মধুসূদন রায় বলেছেন, চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী শোভাযাত্রায় এবার আর বিদ্যুৎ বন্ধ হবে না। প্রতি বছর শোভাযাত্রার দিন বেশ কিছুক্ষণের জন্য সাট ডাউন করা হয়। কিন্তু এ বছর পুজোয় আর সাট ডাউন হবে না। দু’বছর আগে আন্ডারগ্রাউন্ড কেবল বসানোর কাজ শুরু হয়েছিল সেই কাজ শেষ হয়েছে। নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পরিষেবা চালু থাকবে। পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি বলেন, এ বছর আরও বাড়তি নিরাপত্তা বাড়ানো হচ্ছে। পাশাপাশি পুজো কমিটিগুলোকে অনুরোধ করা হয় পুজোর কদিন রাস্তায় ডিজে বাজানো এবং লেসার শো না করার। তিনি আরও বলেন বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার যুগ। তাই যা ঘটছে সেটা দেশের বাইরের লোকের কাছেও পৌঁছে যাচ্ছে। তাই প্রত্যেককে সতর্ক থাকতে হবে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের ক্ষেত্রে। সামান্য কিছু ঘটনা ঘটলে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় না দিয়ে পুলিশকে জানানোর জন্য পুজো কমিটির উদ্যোক্তাদের বলেন পুলিশ কমিশনার। জলের উপর কোনও মণ্ডপ অথবা স্টেজ করতে হলে পূর্ত দপ্তরের ছাড়পত্র লাগবে। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে সিসিটিভি বাড়ানো হচ্ছে। ড্রোনে নজরদারি চালানো হবে। পুলিশ অ্যাসিস্টেন্স বুথের দায়িত্বে থাকবে উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। গোয়েন্দা এবং সাদা পোশাকেও পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন বলেন, চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী শোভাযাত্রা শুধুমাত্র চন্দননগরের গর্ব নয় গোটা বিশ্বের গর্ব। শোভাযাত্রা দেখতে আসা দর্শনার্থীদের জন্য এর আগে চন্দননগরে ভাল থাকার জায়গা ছিল না। বর্তমানে পর্যটন দপ্তরের মাধ্যমে কেএমডিএ পার্কে ভাল থাকার জায়গা করে দেওয়া হয়েছে, যার নাম রাখা হয়েছে আলো রিসর্ট। পাশাপাশি ১০৪ কোটি টাকা ব্যয়ে মাটির তলা দিয়ে বিদ্যুতের লাইন বসানোর কাজ প্রায় শেষের দিকে। এ বছর পুজোর সপ্তমীর আগেই সম্ভবত মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরেই এই প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে বলে জানান মন্ত্রী।