শুভেন্দুর সঙ্গে কথা, মেয়েকে ওড়িশা ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চান দুর্গাপুরের নির্যাতিতা ছাত্রীর বাবা
প্রতিদিন | ১৪ অক্টোবর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজটাল ডেস্ক: দুর্গাপুরের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ছাত্রী গণধর্ষণের ঘটনায় আরও একজন গ্রেপ্তার। ধৃত নাসিরউদ্দিন শেখ দুর্গাপুর নগরনিগমের অস্থায়ী কর্মী বলে খবর। এই অবস্থায় আজ, সোমবার শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দেখা করলেন নির্যাতিতার বাবা। ওড়িশাতে মেয়েকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চান। সেই কথাও রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে জানিয়েছেন তিনি।
দুর্গাপুরে ছাত্রী গণধর্ষণের ঘটনার তদন্তে নেমে একের পর এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অপরাধীদের কাউকে ছাড়া হবে না। সেই বার্তা পুলিশের তরফে দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জিরো টলারেন্স নীতির কথা ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন। তার মধ্যেই বিরোধীরা দুর্গাপুরে এই ইস্যুতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। বিজেপির তরফে হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। আজ, সোমবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দুর্গাপুরে যান। তাঁর সঙ্গে দেখা করেন নির্যাতিতার বাবা। দু’জনের মধ্যে বেশ কিছু সময় কথাও হয়।
গতকাল, রবিবারই নির্যাতিতার বাবা জানিয়েছিলেন, তিনি মেয়েকে আর এখানে রাখবেন না। ওড়িশায় ফিরিয়ে নিয়ে যাবেন। সেই বিষয়ে তাঁর সঙ্গে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝির সঙ্গে কথাও হয়েছে। সেই বিষয়ে তাঁকে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন শুভেন্দুর কাছে সেই বিষয়টি তুলে ধরেন। দুর্গাপুরে বিজেপি পার্টি অফিসে বৈঠক করে নির্যাতিতার বাবার সঙ্গেও কথা বলেন শুভেন্দু। নির্যাতিতার পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
এরপর ওই বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে তোপ দেগে শুভেন্দু বলেন, “মেয়েটির চিকিৎসা নিয়ে পরিবার উদ্বিগ্ন। বাবাকে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না। আমি চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু কর্তৃপক্ষ ওদের চাপ দিয়েছে, কথা বলা যাবে না। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন মাঝির সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে নির্যাতিতার বাড়ির। একটু স্থিতিশীল হলেই ভুবনেশ্বর এইএমসে নিয়ে যাওয়া হবে।” এরপর শুভেন্দু সিটি সেন্টারে বিজেপির ধর্না মঞ্চে যোগ দেন। মেয়েকে আর এখানে পড়াতে চান না বাবাও। এই হাসপাতালের পরিবেশ নিয়েও তিনি বিরক্ত! তিনি বলেন, “মেয়ে একটু ঠিক হলেই এখান থেকে টিসি নিয়ে ওড়িশা চলে যাব। ওখানেই মেডিক্যাল পড়বে। এই ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে।”
এদিকে এদিন ধৃত শেখ নাসিরউদ্দিন ও শেখ সফিকুলকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছিল। আদালত ধৃতদের ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের ডিসি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা বলেন, “ধৃতদের কাছ থেকে নির্যাতিতার মোবাইল উদ্ধার হয়েছে। এতেই প্রমাণ করে এরা ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। আমাদের তদন্ত এখনও চলছে।”