নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: পরিকল্পনা মতোই ১০০ দিনের কাজে বাংলার বকেয়া মেটানোর ইস্যুতে বঞ্চনা জারি রাখারই চেষ্টা চালাল মোদি সরকার। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে নারেগা সংক্রান্ত মামলার শুনানি থাকলেও তা পিছোনোর আবেদন করা হল। মিলল অনুমতিও। রাজ্য সরকার বুধ কিংবা বৃহস্পতিবার শুনানির জন্য আবেদন করলেও কেন্দ্রের পক্ষে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বললেন, ‘না না। শুক্রবার শুনুন। আসলে মামলাটি আমাকে একটু দেখে নিতে সময় দিন।’
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, কলকাতা হাইকোর্ট গত ১৮ জুন কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়েছিল ১ আগস্ট থেকে নারেগায় কাজ শুরুর। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সর্বোচ্চ আদালতে গত ৩১ জুলাই মামলা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সময়সীমা শেষের ঠিক আগের দিন। তাই নিজেরাই মামলা দায়ের করে এতদিন পরেও কেন তা পিছোনোর আবেদন? সুপ্রিম কোর্টে মামলা বিচারাধীন, এই ‘শিখণ্ডী’ খাড়া করে রাজ্যের প্রতি বঞ্চনারই কৌশল নয় তো কেন্দ্রের? উঠছে প্রশ্ন।
এদিন শুনানিতে মামলার মূল বিবাদী ’পশ্চিমবঙ্গ ক্ষেত মজদুর সমিতি’র আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য অনুরোধ করে বলেন, শুনানি পরে হোক। কিন্তু গরিব মানুষের কাজ কেন আটকে রেখেছেন? সেটা তো অন্তত শুরু করে দিন। আর এক আইনজীবী মুরলিধরণ বলেন, পশ্চিমবঙ্গে প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ কাজের জন্য মুখিয়ে রয়েছে। রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিবাল বলেন, ২০২২ সাল থেকে কাজ বন্ধ করে রেখেছে, বকেয়া টাকাও আটকে রেখেছে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। এররেও সলিসিটর জেনারেল মামলা পিছোনোরই আবেদন করে যান। আগামী সপ্তাহে যেহেতু দীপাবলির জন্য সুপ্রিম কোর্ট ছুটি থাকবে। তাই বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, আগামী ২৭ অক্টোবর মামলা শোনা হবে। তৈরি হয়ে আসবেন।