• নাগরাকাটায় ত্রাণ শিবিরের কাছে চিতাবাঘ
    বর্তমান | ১৪ অক্টোবর ২০২৫
  • সৈয়দ নিজাম, নাগরাকাটা: রবিবার রাতে নাগরাকাটার টন্ডুতে ত্রাণ শিবিরের কাছে হানা দেয় চিতাবাঘ। যদিও পটকা ফাটিয়ে চিতাবাঘটিকে তাড়িয়ে দেন খুনিয়া রেঞ্জের বনকর্মীরা। তারপর আর ঝুঁকি নিয়ে ওই ত্রাণ শিবিরে রাতে থাকেননি কেউ। দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের রাখার জন্য বানানো ত্রাণ শিবির চত্বরে রাতভর পাহারায় ছিলেন পুলিশ ও বনকর্মীরা। 

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ত্রাণ শিবির যেখানে করা হয়েছে, সেই জায়গাটি হাতি ও চিতাবাঘ অধ্যুষিত। সন্ধ্যা হতেই এলাকায় গজরাজের পাশাপাশি চিতাবাঘও বেরিয়ে আসে। শিবিরে থাকা দুর্গতদের মধ্যে সঞ্জীব কুজুর বলেন, রাতে আমরা সকলেই ত্রাণ শিবিরে থাকার জন্য গিয়েছিলাম। খাওয়াদাওয়া করে সকলে ঘুমিয়েও পড়েছিলাম। সাড়ে ১১টা নাগাদ একটি চিতাবাঘের ডাকাডাকির আওয়াজ পাই। ঘুম ভেঙে যায়। যদিও চিতাবাঘ ত্রাণ শিবিরের কাছে আসতেই বনকর্মীরা পটকা ফাটিয়ে তাড়িয়ে দেন। তারপর আমরা আর কেউই এক মুহূর্ত ঝুঁকি নিইনি। অন্যের বাড়িতে রাত কাটাই।। 

    কৃষ্ণা সাহু নামে আরএকজন জানান, শুধু চিতাবাঘ নয়, রাতে এখানে হাতিও আসে। ঘুমন্ত অবস্থায় যদি কোনও অঘটন ঘটে তাহলে পালাব কোথায়?  দুর্যোগে নিজের বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। তাই অন্যের বাড়িতে রাতে থেকেছি। 

    খুনিয়ার রেঞ্জার সজলকুমার দে বলেন, আমাদের কর্মীরা ওখানেই ছিলেন। চিতাবাঘ এলাকায় আসতেই পটকা ফাটিয়ে সেটিকে তাড়িয়ে জঙ্গলে পাঠানো হয়েছে। বনকর্মীরা রাতেও টহল দেবেন। 

    উল্লেখ্য, এই ত্রাণ শিবিরে ৩০০ জন আছেন। কমিউনিটি কিচেন খুলে দুর্গতদের প্রতিদিন খাওয়ানো হচ্ছে। পলিথিন টাঙিয়ে দুর্গতদের থাকার ব্যবস্থা 

    করা হয়েছে। ত্রাণ শিবিরের পাশে বেশ কিছুদিন আগে এক বাসিন্দার হাতির হামলায় মৃত্যু হয়েছে। রাতের বেলায় গ্রাম থেকে গোরু, ছাগল চিতাবাঘ তুলে নিয়ে যায় বলে বাসিন্দারা জানিয়েছেন। ঘরে থাকলে রক্ষা, কিন্তু পলিথিন দেওয়া ঘেরার মধ্যে থাকলে যেকোনও সময় বন্যপ্রাণী সরাসরি হামলা চালাতে পারে বলে জানান তাঁরা। 
  • Link to this news (বর্তমান)