• স্বাভাবিক হচ্ছে জলদাপাড়া, কার সাফারি শুরু হতেই ব্যাপক ভিড়
    বর্তমান | ১৪ অক্টোবর ২০২৫
  • রবীন রায়, আলিপুরদুয়ার: দুর্যোগ কেটে যাওয়ার পর অনেকটাই ছন্দে ফিরেছে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান। আর ছন্দে ফিরতেই গত শুক্রবার থেকে জাতীয় উদ্যানের চিলাপাতা, শালকুমার ও কোদালবস্তি পয়েন্টে কার সাফারি চালু হয়েছে। এতে পর্যটক উপচে পড়েছে কার সাফারিতে। এমন অবস্থায় বেজায় খুশি জিপসি মালিকরা। স্থানীয় জিপসি মালিকদের দাবি, একেবারে ঠাঁই নাই ঠাঁই নাই অবস্থা। দুর্যোগ কাটতে না কাটতেই পর্যটকরা সাহস করে এভাবে যে কার সাফারি করতে আসবেন তা তাঁরা ভাবতেও পারেননি। শুধু ডে ভিজিটেই নয়। কার সাফারি করতে পর্যটকরা এখন রাতও কাটাচ্ছেন স্থানীয় লজ, রিসর্ট, হোমস্টেগুলিতে। বনদপ্তর দ্রুত হাতি সাফারি চালুরও চেষ্টা চালাচ্ছে। জঙ্গলের ভিতরে ডলোমাইট মিশ্রিত কাদা, পলি একটু শুকিয়ে গেলেই তারা হাতি সাফারি চালু করে দেবে বলে জানিয়েছে। 

    জাতীয় উদ্যানের সংশ্লিষ্ট ওই তিনটি পয়েন্টের রুট পুরোপুরি সাফারির উপযুক্ত অবস্থায় ফিরেছে। কার সাফারির জন্য বনদপ্তরের ছাড়পত্র মিলতেই দলবেঁধে পর্যটকরা ভিড় করছেন। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের চিলাপাতা বনাঞ্চলে ৫০টির মতো রিসর্ট ও হোমস্টে আছে। চিলাপাতা, কোদালবস্তি-মেন্দাবাড়ি ও শালকুমার মিলিয়ে মোট ১৯টি জিপসি আছে। চিলাপাতা জিপসি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিমল রাভা বলেন, দুর্যোগ কাটতে না কাটতেই পর্যটকরা যে এভাবে সাহস করে কার সাফারির জন্য আসবেন তা আমরা আঁচ করতে পারিনি। পরিস্থিতি এমনই যে সাফারির জন্য পর্যটকদের অনেককেই দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছে। 

    চিলাপাতা ইকো ট্যুরিজম সোসাইটির সভাপতি দিলীপ ওরাওঁ বলেন, শুধু ডে ভিজিটই নয়। কার সাফারির জন্য পর্যটকরা এলাকার লজ, রিসর্ট হোমস্টেতে এখন রাতও কাটাচ্ছেন। আমরা সত্যিই খুশি। জলদাপাড়ার নতুন পর্যটন কেন্দ্র শিসামারা। সেখানে ১৯টি লজ, রিসর্ট, হোমস্টে আছে। শিসামারা নদীর জলে ও ভুটানের পলিতে ক্ষতবিক্ষত হয়েছিল থাকার জায়গাগুলি। ডলোমাইট ও পলি সরিয়ে সেই লজ, রিসর্ট, হোমস্টেগুলি এখন অনেকটাই স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে। 

    জলদাপাড়া রিসর্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ দেবাশিস রাউথ বলেন, দুর্যোগের সময় পর্যটকরা অনেকেই বুকিং বাতিল করেছিলেন।  তাঁরা ফের যোগাযোগ করছেন আমাদের সঙ্গে। আমরা তাঁদের সাফারির জন্য সবরকম উদ্যোগ নিচ্ছি। 

     গড়িয়া থেকে স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে নিয়ে কার সাফারি করতে চিলাপাতায় এসেছেন অভিরূপ সামন্ত। তিনি বলেন, সোমবার চিলাপাতায় কার সাফারি করলাম। আমাদের কোনও সমস্যা হয়নি। মঙ্গলবার কলকাতায় ফিরে যাচ্ছি। 

    জাতীয় উদ্যানের মূল প্রাণকেন্দ্র মাদারিহাটে ২৫টি জিপসি আছে। বনদপ্তর সেখানেও কার সাফারি চালুর চেষ্টা করছে। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের সহকারী বন্যপ্রাণী সংরক্ষক নবিকান্ত ঝা বলেন, কার সাফারিতে ভিড় বেড়েছে। এখন জাতীয় উদ্যানে দ্রুত হাতি সাফারি চালুর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। মাদারিহাটেও কার সাফারি চালুর চেষ্টা চলছে।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)