• ডুয়ার্স থেকে বিধ্বস্ত পাহাড়ে মমতা, আজ যাবেন সুখিয়াপোখরি, পুনর্গঠনের কাজ তদারকির জন্য টিম জিটিএ’র
    বর্তমান | ১৪ অক্টোবর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি ও সংবাদদাতা, দার্জিলিং: ডুয়ার্সের পর এবার দুর্যোগে বিধ্বস্ত পাহাড়ে এসে পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিকেলে তিনি কার্শিয়াংয়ে আসেন। আজ, মঙ্গলবার জোড়বাংলো-সুখিয়াপোখরি ব্লক পরিদর্শন করবেন তিনি। এদিকে, পাহাড়ে সাম্প্রতিক বিপর্যয় নিয়ে প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির হিসেব তৈরি করেছে জিটিএ। সেই হিসেব অনুযায়ী, ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৯৫০ কোটি টাকা। আজ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সেই রিপোর্ট পেশ করবে তারা। এর পাশাপাশি পুনর্গঠনের কাজ তদারকিতে জিটিএ গঠন করেছে ১১ জনের একটি বিশেষ কমিটি। 

    ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের একদিন পর, ৬ অক্টোবর উত্তরবঙ্গে এসেছিলেন মমতা। বিধ্বস্ত উত্তরবঙ্গের পাশে দাঁড়াতে ফের তিনি এসেছে ডুয়ার্স ও পাহাড়ে। ইতিমধ্যে আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলার একাধিক বিপন্ন গ্রাম পরিদর্শন করে ত্রাণ বণ্টন ও পুনর্গঠনের কাজ তদারকি করেছেন তিনি। সোমবার বিকেলে শিলিগুড়ি হয়ে সড়ক পথে কার্শিয়াং পৌঁছন। জেলায় প্রবল বর্ষণ, নদীর জলস্ফীতি ও ধসে ক্ষতিগ্রস্ত ব্লকগুলির মধ্যে জোড়বাংলো-সুখিয়াপোখরি অন্যতম। বালাসন ও রংভং নদী ছাড়াও ব্লকে বেশ কয়েকটি ঝোরা আছে। এখানকার পর্যটন কেন্দ্র তাবাকোশির একাংশ কার্যত নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। আজ জোড়বাংলো-সুখিয়াপোখরি বিডিও অফিসে বৈঠকের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী নিজে কথা বলবেন বলে জানা গিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি বিপর্যয়ের মোকাবিলা করে যাঁরা প্রাণ বাঁচিয়েছেন, তাঁদেরও সম্মানিত করার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। 

    এদিকে, ভয়াবহ দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে এদিন গোর্খা রঙ্গমঞ্চে জরুরি বৈঠক করে জিটিএ কর্তৃপক্ষ। সভায় জিটিএর চিফ এগজিকিউটিভ অনীত থাপা সহ নির্বাচিত ও মনোনীত মিলিয়ে মোট ৯৮জন সদস্য ছিলেন। জিটিএ সূত্রে খবর, দার্জিলিং, কার্শিয়াং ও মিরিক পুরসভা এবং পাহাড়ের পাঁচটি ব্লক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সুখিয়াপোখরি-জোড়বাংলো ব্লক সহ গোটা পাহাড়ে মৃতের সংখ্যা ২১। ধস ও নদীর স্রোতের তোড়ে ভেঙেছে অসংখ্য রাস্তা, কালভার্ট, সেতু, বাড়ি, হোমস্টে। কিছু স্কুলবাড়ি, পানীয় জলের কল, বিদ্যুতের খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কমলা ও চা বাগান, সিঙ্কোনা বাগান, চাষের জমি, কিছু পর্যটন কেন্দ্র কার্যত তছনছ হয়ে গিয়েছে। জিটিএর প্রাথমিক হিসেব, সাম্প্রতিক দুর্যোগে পাহাড়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৯৫০ কোটি টাকা। জিটিএর চেয়ারম্যান অঞ্জুল চৌহান বলেন, ‘গত ৪ অক্টোবরের ভয়াবহ বিপর্যয়ে পাহাড়ে এখনও পর্যন্ত ৯৫০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট জমা পড়েছে। পরিমাণটা আরও বাড়বে। এই রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পেশ করা হবে।’

    পুনর্গঠনের কাজ নিয়েও এদিন জিটিএর বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়। জিটিএর চেয়ারম্যান বলেন, ‘দুর্যোগ কবলিত এলাকা পুনর্গঠনের কাজ তদারকি করতে ১১ জনের কমিটি গড়া হয়েছে। সেখানে বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যদেরও রাখা হয়েছে।’  মালবাজারে ছাত্রছাত্রীদের চকোলেট দিচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী। নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)