নিজস্ব প্রতিনিধি, দুর্গাপুর ও সংবাদদাতা: দুর্গাপুরের গণধর্ষণ কাণ্ডে সোমবার আরও দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। গোপালমাঠ এলাকায় আত্মগোপন করেছিল তারা। সেখানে অভিযান চালিয়ে নাসিরুদ্দিন শেখ ওরফে সম্রাট ও সফিক শেখ নামে দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের দাবি, বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত পাঁচ অভিযুক্তকেই চিহ্নিত করা হয়েছে। এর আগে তাদের মধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এদিন বাকি দু’জন গ্রেফতার হতেই তদন্তের জাল অনেকটাই গুটিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে বলে তদন্তকারীদের মত। এসিপি সুবীর রায় এদিন বলেন, ‘পাঁচ অভিযুক্তকে আমরা আমরা আগেই চিহ্নিত করে নিয়েছিলাম। ঘটনার পরপরই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি দু’জনের খোঁজ চলছিল। তারাও ধরা পড়ল। এবার টিআই প্যারেড, মেডিকেল পরীক্ষা সহ তদন্তের বাকি প্রক্রিয়া হবে।’ পুলিশের তদন্ত ঠিক পথে এগচ্ছে বলেও মেনে নেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এদিন, সাংবাদিক বৈঠকে তিনি কার্যত স্বীকার নেন, পুলিশ সঠিক অপরাধীদেরই ধরেছে। তারপরও অবশ্য দিনভর এ নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর বন্ধ হয়নি। নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করতে দুর্গাপুরে আসেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও।
এদিকে, ওড়িশা সরকার নির্যাতিতার পাশে দাঁড়িয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছে। সে রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী প্রভাতী পারিদা এদিন বলেন, ‘মেয়েদের রাতে বেরোনো নিয়ে একজন মহিলা নেত্রী যে মন্তব্য করেছেন, তা অনভিপ্রেত।’ দুর্গাপুরের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতীয় মহিলা কমিশনও। এদিন তাদের তরফে একগুচ্ছ প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। সেখানে বলা হয়েছে, নির্যাতিতা ছাত্রী যাতে নিরাপদে তাঁর পড়াশোনা সম্পন্ন করতে পারেন, তা সুনিশ্চিত করতে হবে রাজ্যকে। মানসিকভাবে তিনি যাতে ভেঙে না পড়েন, তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নিতে হবে। যদি তিনি ওই কলেজে পড়তে না চান, তাহলে বিকল্প কোনও কলেজে ভরতি করাতে হবে।