• সরকারি চাকরি থেকে ইস্তফা দিলেন আরজি করের সন্দীপের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলা সেই আখতার আলি
    আনন্দবাজার | ১৪ অক্টোবর ২০২৫
  • আরজি করের কলেজ এবং হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে তিনিই প্রথম দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন। তাঁর অভিযোগের পরেই প্রকাশ্যে আসে আরজি করের আর্থিক দুর্নীতি। সেই আখতার আলি এ বার সরকারি চাকরি থেকে ইস্তফা দিলেন। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি।

    উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ হাসপাতালের ডেপুটি সুপার পদে কর্মরত ছিলেন আখতার। সোমবার সেই পদ থেকে ইস্তফা দেন। রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তার কাছে নিজের পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তিনি। তবে তাঁর পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়েছে কি না, সোমবার রাত পর্যন্ত তা জানানো হয়নি স্বাস্থ্য দফতরের তরফে। কী কারণে তিনি ইস্তফা দিলেন, তা নিয়ে ধোঁয়াশাই রেখেছেন আখতার।

    পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পর আখতার অভিযোগ করেন, দুর্নীতি নিয়ে মুখ খোলার পর থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি প্রতিহিংসা শুরু হয়। একের পর এক বদলির নির্দেশ জারি হয় তাঁর নামে। তার পরেই সরকারি চাকরি ছাড়ার কথা ভাবেন তিনি। তাঁর দাবি, ‘‘সরকারি চাকরি করে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়তে পারছি না। কেউ আমাকে লড়তে দেবে না। তাই আমি পদ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’ আখতারের সংযোজন, ‘‘আমার দু’টি নীতি। এক, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই। আর দুই, পড়ুয়াদের ওপর যে অত্যাচার হচ্ছে তার বিরুদ্ধে সরব হওয়া। সেই লড়াই আমি চালিয়ে যাব।’’

    আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তুলে রাজ্য ভিজিল্যান্স কমিশনকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলেন ওই হাসপাতালেরই তৎকালীন ডেপুটি সুপার আখতার। ২০২৩ সালে সেই অভিযোগ করা হয়েছিল। পরে আরজি কর থেকে তাঁকে বদলি করে পাঠানো হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। সেখানে ডেপুটি সুপার (নন-মেডিক্যাল) পদে কিছু দিন কাজ করেন আখতার। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে তাঁকে আবার বদলি করে পাঠানো হয় উত্তর দিনাজপুরে। সেখানকার কালিয়াগঞ্জ হাসপাতালের ডেপুটি সুপার পদে দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন। সোমবার সেই পদ থেকেই ইস্তফা দিলেন আখতার।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)