• প্লাস্টারের ভুল বাঁধনে হাত অকেজো শিশুর! কাকদ্বীপের নার্সিং হোমকে ক্ষতিপূরণের নির্দেশ স্বাস্থ্য কমিশনের
    আনন্দবাজার | ১৪ অক্টোবর ২০২৫
  • পাঁচ বছরের একটি শিশুর ভাঙা হাতে প্লাস্টার করে দিয়েছিল কাকদ্বীপের এক নার্সিংহোম। অভিযোগ, এতটাই কষে সেই কাস্টিং করা হয়েছিল, যে শিশুটির হাতে ব্যথা শুরু হয়। নার্সিংহোমের চিকিৎসককে জানিয়েও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। তার জেরে গ্যাংরিন হতে শুরু করে শিশুটির হাতে। কলকাতার হাসপাতালে তিনটি অস্ত্রোপচার করে তার হাত যদিও বাঁচানো গিয়েছে। তবে চিকিৎসকেরা মনে করছেন, তার হাত অকেজো হয়ে গিয়েছে। এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেয় রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশন। নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষকে শিশুর পরিবারকে তিন লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে তারা।

    শিশুটি কাকদ্বীপের বাসিন্দা। পারিবারিক সূত্রে খবর, পড়ে গিয়ে তার হাত ভেঙে গিয়েছিল। প্রথমে স্থানীয় এক ‘হাতুড়ে’ চিকিৎসককে দেখানো হয়। সেখান থেকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় কাকদ্বীপের একটি নার্সিংহোমে। ওই নার্সিংহোমেই শিশুটির হাতে প্লাস্টার করা হয়। অভিযোগ, কাস্টিং এতটাই শক্ত হয়, যে তার ভাঙা হাতে রক্ত চলাচল ব্যহত হয়। প্রথমে শিশুটির হাতে ব্যথা হয়। পরিবারের লোকজন শিশুটিকে নার্সিং হোমের চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায়। চিকিৎসক প্লাস্টারের সামান্য অংশ কেটে দেন। পরিবারের অভিযোগ, তাতে ব্যথা কমেনি শিশুটির।

    এর পরে শিশুটিকে আবার চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসক প্লাস্টার কেটে দেখেন, শিশুটির হাতে গ্যাংরিন হয়েছে। সেখান থেকে শিশুটিকে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়। তার পরে তাকে এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে শিশুর হাতে তিন বার অস্ত্রোপচার হয়। প্লাস্টিক সার্জারিও হয়। চিকিৎসকদের মতে, হাত বাঁচানো গেলেও সেটি ‘অকেজো’ হয়ে গিয়েছে।

    শিশুর পরিবার স্বাস্থ্য কমিশনে অভিযোগ করে। অভিযোগকারীর নাম ঈপ্সিতা মাইতি। ডেপুটি সিএমওএইচকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষকে তিন লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, নার্সিংহোমের মালিকানা হস্তান্তর হয়েছে। নতুন কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কিছু জানেন না। যদিও কমিশন ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে অনড়।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)