• ভরা রাস্তায় হাতাহাতি, স্কুটার থামিয়ে ঝগড়া করতে গিয়েই মাথায় হাত যুবকের, শেষমেশ সর্বস্ব খোয়ালেন!
    আজকাল | ১৪ অক্টোবর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভরা রাস্তায় দুই স্কুটারের সংঘর্ষ। তার জেরেই তুমুল বচসা শুরু। স্কুটার থেকে নেমে ঝগড়া করতে শুরু করেন এক যুবক। তার জেরেই ঘটে বিপত্তি। বাড়ি পৌঁছেই মাথায় হাত তাঁর। ঝগড়া করার সময়েই খোয়া যায় কয়েক লক্ষ টাকার রুপো। তড়িঘড়ি করে থানায় ছুটলেন তিনি। 

    সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লিতে। সোমবার পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার নর্থ ইস্ট দিল্লির নিউ উসমানপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। জেপিসি হাসপাতালের কাছেই স্কুটার থামিয়ে দুই ব্যক্তির সঙ্গে ঝগড়া করতে গিয়েছিলেন ওই যুবক। সেই সময় তাঁর স্কুটার থেকে ১১ কেজি রুপো চুরি হয়ে যায় বলে অভিযোগ উঠেছে। 

    পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, যুবকের নাম রামরতন আগারওয়াল। শাহদরা এলাকার বাসিন্দা তিনি। সেদিন ১১ কেজি রুপো স্কুটারে নিয়ে বাড়িতে যাচ্ছিলেন তিনি। বাড়ি যাওয়ার পথে ওই এলাকায় আরেকটি স্কুটারের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। সেই স্কুটারে দুই যুবক ছিলেন। আচমকা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে তাঁর স্কুটার। এরপরই বচসা শুরু হয়। 

    ভরা রাস্তায় রামরতনের সঙ্গে দুই যুবকের তুমুল ঝগড়া হয়। এমনকী হাতাহাতিতেও জড়িয়ে পড়েন। কয়েক মিনিট পর ঝগড়া থামিয়ে যে যার মতো বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন‌। বাড়ি পৌঁছেই রামরতনের মাথায় হাত পড়ে যায়। স্কুটার খুলতেই দেখেন, সেই ১১ কেজি রুপো গায়েব। কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতিতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তিনি। 

    তড়িঘড়ি করে থানায় ছুটে যান যুবক। ১১ কেজি রুপোর চুরির অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।‌ এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে। কে বা কারা ভরা রাস্তায় সকলের নজর এড়িয়ে চুরি করল, তা ঘিরে জোরকদমে তদন্ত চলছে। 

    প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে মন্দিরে চুরি করতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ায় ধরা পড়েছিল এক চোর। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডে। পুলিশ জানিয়েছে, নাওমুন্ডির একটি মন্দিরে গয়না, বাসনপত্র চুরি করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছে এক যুবক। তার নাম, ভীর নায়ক। তাকে গ্রেপ্তার করার পর উদ্ধার হয়েছে সোনার গয়না, হার, বাসনপত্র, এমনকী কয়েকটি কাপড়। 

    পুলিশ জানিয়েছে, ১৪ জুলাই রাতে বীর নামের ওই যুবক বন্ধুদের সঙ্গে মদ্যপান করেছিল। এরপর বন্ধুরা যে যার মতো বাড়িতে ফিরে যায়। কিন্তু বীর একা একাই ওই মন্দিরে চুরির পরিকল্পনা করে। মত্ত অবস্থায় এক স্থানীয় কালী মন্দিরের পাঁচিল টপকে ভিতরে ঢোকে। ঠাকুরঘরের তালা ভেঙে হাতের সামনে যা পায়, তাই ব্যাগে ভরে ফেলে। 

    ঠাকুরের সোনার হার, মুকুট, অস্ত্র, থালা, ঘণ্টা, মূর্তির গায়ের বস্ত্র, আরও কিছু কাঁসা, পিতলের বাসন ব্যাগে ভরে নেয়। এত কিছু চুরি করেও সে পালাতে পারেনি। মন্দিরের মেঝে ঘুমিয়ে পড়ে। প্রথমত, মন্দির চত্বরটি অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা। দ্বিতীয়ত, সে মত্ত অবস্থায় ছিল। ঠান্ডা মেঝেতে খানিকক্ষণ বিশ্রাম নিতে গিয়েই ঘুমিয়ে পড়ে। কিন্তু সেই ঘুম আর ভোরবেলায় ভাঙেনি। 

    সকাল হতেই স্থানীয় বাসিন্দা এবং মন্দিরের পুরোহিত ঘটনাস্থলে আসে। ঠাকুরঘরের সামনে পৌঁছে সকলে দেখেন, ওই যুবক ঘুমে আচ্ছন্ন। প্রথমে কারো সন্দেহ হয়নি। এরপর তার ব্যাগটি খুলতেই সকলে চমকে ওঠেন। সেই ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় ঠাকুরের গয়না, পুজোর সরঞ্জাম।‌ তড়িঘড়ি পুলিশে খবর দেওয়া হয়। 

    পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেই যুবককে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু তখনও সে টের পায়নি, চুরির ঘটনাটি জানাজানি হয়ে গেছে। জেরায় পুলিশকে সে জানায়, চুরির পর পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তার। কিন্তু ঠান্ডা মেঝেতে শুয়ে কখন ঘুমিয়ে পড়েছিল, তা টের পায়নি। বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে রয়েছে সে। 

    এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অনেকেরই দাবি, 'এটি কালী মায়ের কৃপা। ঈশ্বর উপযুক্ত পদক্ষেপ করেছে। ঠাকুরের গয়না চুরি করে তাই পালাতে পারেননি চোর। মায়ের কৃপাতেই এখন সে শ্রীঘরে।' মন্দিরের পুরোহিতের দাবি, 'মায়ের আশীর্বাদ ছাড়া এ সম্ভব নয়। তিনি কখনও অন্যায়, অপরাধ সহ্য করেননি। এই ঘটনা আবারও তা প্রমাণ করল।' ঘটনার পর থেকে মন্দিরের ঠাকুর জাগ্রত বলে রটে গেছে এলাকায়। পুজোর জন্য আরও বাড়ছে ভিড়। 
  • Link to this news (আজকাল)