• দুর্গাপুর গণধর্ষণের ঘটনায় নির্যাতিতাকে ফোন ওডিশার মুখ্যমন্ত্রীর, কঠোর শাস্তির জন্য ‘চাপ’ তৈরির আশ্বাস
    এই সময় | ১৪ অক্টোবর ২০২৫
  • দুর্গাপুরের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের গণধর্ষণের ঘটনায় ওডিশার মুখ্যমন্ত্রীর ফোন নির্যাতিতাকে। নির্যাতিতার পরিবারকে সমস্ত সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝি। সূত্রের খবর, দোষীদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ স্তরে চাপ দেওয়ার বার্তা দিয়েছেন তিনি। ২৩ বছরের ডাক্তারি পড়ুয়াকে সমস্ত ধরনের সহায়তার আশ্বাসও দিয়েছেন ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী।

    দুর্গাপুর গণধর্ষণের খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই নির্যাতিতার পরিবারের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ওডিশা সরকার। জানা গিয়েছে, সোমবার নির্যাতিতার ফোনে মোহনচরণ মাঝি বলেন, ‘একদম চিন্তা করবেন না ৷ ওডিশার সরকার আপনার এবং আপনার পরিবারের পাশে রয়েছে ৷ মনে সাহস রাখুন। একদম ধৈর্য হারাবেন না৷’

    ঘটনার পরেই নির্যাতিতার বাবা জানিয়েছিলেন তিনি বাংলায় আর তাঁর মেয়েকে রাখতে চান না। সংবাদসংস্থার রিপোর্ট অনুসারে, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার সময়ে নির্যাতিতা নিজেও ওডিশার যে কোনও মেডিক্যাল কলেজে ট্রান্সফার চেয়েছেন। উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী সমাধান খোঁজার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আপনি যে হেতু একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রী, তাই কী ভাবে স্থানান্তর করা যায়, তা আমাকে জানতে হবে। আমি ইতিমধ্যে আধিকারিকদের এ বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলেছি।’ যদিও পরিবারকে আগেই মুখ্যমন্ত্রী মাঝি আশ্বাস দিয়েছিলেন, ওডিশায় ফিরে এলে ছাত্রীর কেরিয়ারের যাতে কোনও ক্ষতি না হয় তা দেখবে ওডিশার বিজেপি সরকার।

    নির্যাতিতার পাশাপাশি তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তদন্তে অগ্রগতি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ । উল্লেখ্য, সোমবার পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও ‘নির্যাতিতা’র পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। সেই বিষয়টি উল্লেখ করে নির্যাতিতার পরিবারের কাছে মুখ্যমন্ত্রী মাঝি জানতে চেয়েছিলেন তারা তাঁদের অসুবিধার কথা জানিয়েছেন কি না। এ ছাড়া ওডিশা মহিলা কমিশনরের চেয়ারপার্সন শোভনা মোহান্তির সঙ্গেও কথা বলেন ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী৷ তাঁকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে ঘটনার তদন্ত সম্পর্কে খোঁজ নেওয়ার পাশাপাশি যোগাযোগ রেখে চলতে পরামর্শ দিয়েছেন।

    গত শুক্রবার রাত ৯টা নাগাদ এক সহপাঠীর সঙ্গে বাইরে বেরিয়েছিলেন ওই তরুণী। অভিযোগ, সেই সময়েই তাঁকে স্থানীয় জঙ্গলে টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল হাসপাতালে। পাঁচ অভিযুক্তকেই গ্রেপ্তার করেছে আসানসোল–দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিশ।

  • Link to this news (এই সময়)