• সাঁতার কাটায় অনীহা, প্রতিযোগিতা আর ভাল লাগছিল না, শুনেই তুমুল বকুনি বাবার! শেষমেশ যা করল কিশোর
    আজকাল | ১৪ অক্টোবর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: সাঁতার কাটায় অনীহা। আর ভাল লাগছিল না প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে। ছেলের কথা শুনেই তুমুল বকাঝকা দেন বাবা। চারিপাশের এত চাপে শেষমেশ হাল ছেড়ে দেয় কিশোর। বাবার বকুনি শুনেই স্কুলে গিয়ে চরম পদক্ষেপ করে সে। স্কুলের বিল্ডিং থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হল ১৭ বছরের এক কিশোর। 

    সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুতে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকালে ক্লোরেন্স হাই স্কুলে। ওই স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র, ১৭ বছরের পড়ুয়া বিল্ডিং থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়। সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ সহপাঠীদের চোখের সামনেই চরম পদক্ষেপ করেন ওই পড়ুয়া। 

    ঘটনাটি ঘটেছে পুলকেশিনগর থানার অন্তর্গত এলাকায়। কিশোরকে রক্তাক্ত অবস্থায় তড়িঘড়ি করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, আরিয়ান নামের ওই কিশোর প্রতিভাবান সাঁতারু ছিল। খুব ভাল সাঁতার কাটত সে। একাধিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে পুরষ্কার জিতেছিল। 

    কিন্তু সম্প্রতি সাঁতার কাটায় অনীহা প্রকাশ করেছিল। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে চায়নি। পাশাপাশি স্কুল প্রোজেক্টের কাজও শেষ করতে পারেনি সে। তা ঘিরেই তার বাবা তুমুল বকাঝকা করেন। বাবার বকুনি শুনেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল আরিয়ান। অবশেষে স্কুলে এসেই চরম পদক্ষেপ করে সে। 

    পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, কিশোরের দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এরপর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। কী কারণে আত্মহত্যার পথ বেছে নিল সে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এমনকী স্কুলের পরিবেশের কারণে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত ছিল কিনা, তা ঘিরেও তদন্ত করছে পুলিশ। 

    প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসে মায়ের বকুনি শুনে এক কিশোর আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিল। একদিনও পড়াশোনা থেকে রেহাই নেই। মা-বাবার বকাঝকা, পড়ার চাপে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত। মায়ের বকুনি শুনে টিউশনে গেলেও, চরম পদক্ষেপ করল ১৪ বছরের কিশোর। বহুতল আবাসন থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হল সে। 

    সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের মুম্বইয়ে। বৃহস্পতিবার পুলিশ জানিয়েছে, কান্দিভালি এলাকায় ব্রুক আবাসনের ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয় ১৪ বছরের এক কিশোর। পড়াশোনার চাপেই সে আত্মহত্যা করেছে বলে পুলিশের অনুমান। 

    তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, বুধবার সন্ধ্যায় টিউশনে যাওয়ার জন্য কিশোরকে জোরাজুরি করেছিলেন তার মা। গৃহবধূ জানিয়েছেন, সন্ধ্যায় ঘরেই খেলাধুলা করছিল সে। বারবার টিউশনে যেতে বললেও, নারাজ ছিল সে। পড়াশোনায় মন না দেওয়ায় খানিকটা বকাঝকা করা হয়েছিল। এরপর গোমড়া মুখেই টিউশনে যায়। 

    কিছুক্ষণ পর পুলিশ জানায়, ওই আবাসনের নীচ থেকে কিশোরের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। কিশোরের রহস্যমৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত চলছে। পরিবারের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। 
  • Link to this news (আজকাল)