নয়াদিল্লি, ১৪ অক্টোবর: ফের কলঙ্কিত শিক্ষাঙ্গণ। এবার ঘটনাস্থল সাউথ এশিয়ান ইউনিভার্সিটি (এসএইউ)। দিল্লির হাইপ্রোফাইল এই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে প্রথম বর্ষের এক বি-টেক ছাত্রীকে যৌন হেনস্থা ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ। ইতোমধ্যে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন নির্যাতিতা তরুণী। ক্যাম্পাসের মধ্যে চারজন মিলে ধর্ষণের চেষ্টা করে বলে দাবি করেছেন তিনি। এই ঘটনায় প্রশ্নের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ভূমিকা। কারণ, পড়ুয়ারা জানালেও তাদের তরফে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়নি। পরে নির্যাতিতার বন্ধুদের থেকে অভিযোগ পেয়ে এফআইআর দায়েরের মাধ্যমে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। পরে সমালোচনার মুখে গোটা ঘটনার নিন্দা করে নির্যাতিতার পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে এসএইউ কর্তৃপক্ষ। সেইসঙ্গে গঠন করা হয়েছে একটি তদন্ত কমিটি। ১০ দিনের মধ্যে কমিটিকে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
সাউথ এশিয়ান ইউনিভার্সিটি বিদেশ মন্ত্রকের অধীনে। দক্ষিণ এশিয়ার আটটি দেশের পড়ুয়া এখানে পড়াশোনা করেন। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে নির্মাণকাজ চলছে। সেখানে পড়ুয়া ছাত্রীকে গণধর্ষণের চেষ্টা করা হয় বলে জানা গিয়েছে। নির্যাতিতা জানিয়েছেন, চারজন তার পোশাক ছিড়ে দেয় এবং ধর্ষণের চেষ্টা করে।
সোমবার দুপুর তিনটে নাগাদ পুলিশকে ফোন করে গোটা ঘটনা জানানো হয়েছিল। এর পরে পুলিশের একটি দল ক্যাম্পাসে আসে। প্রাথমিকভাবে যৌন হেনস্থার মামলা রুজু করে পুলিশ। পরে নির্যাতিতার বয়ানের ভিত্তিতে দায়ের হয় ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় প্রতিটি স্থানে সিসি ক্যামেরা আছে। নির্যাতিতার বক্তব্যের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।