দুর্গাপুরকাণ্ডে ধৃত আরও দুই, গ্রেপ্তার সব অভিযুক্ত
দৈনিক স্টেটসম্যান | ১৪ অক্টোবর ২০২৫
দুর্গাপুরে ডাক্তারি পড়ুয়াকে গণধর্ষণকাণ্ডে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সব অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। এই ঘটনার তদন্তে নেমে আগেই ৩ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। রবিবার রাতে আরও এক অভিযুক্তকে পাকড়াও করে পুলিশ। সারা রাত ধরে টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার বেলার দিকে পঞ্চম অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেন তদন্তকারীরা। সদ্য ধৃত দুই অভিযুক্তকে সোমবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক ৯ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
শুক্রবার রাতে ওড়িশার বাসিন্দা তথা দুর্গাপুরের শোভাপুর এলাকায় একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রী তাঁর এক সহপাঠীর সঙ্গে কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে বেরিয়েছিলেন। সেই সময় কলেজের অদূরে কয়েকজন যুবক ওই তরুণীকে প্রথমে হেনস্থা করেন। তারপর টেনেহিঁচড়ে পাশের জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে তাঁকে গণধর্ষণ করা হয়। নির্যাতিতা তরুণী তাঁর বয়ানে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ জানিয়েছিলেন। সেই বয়ানের ভিত্তিতে পাঁচ অভিযুক্তকেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঘটনার তদন্তে নেমে মোবাইলের টাওয়ার লোকেশনের সূত্র ধরে আগেই অপু বাউরি, শেখ ফিরদৌস এবং শেখ রিয়াজউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেন তদন্তকারীরা। রবিবার ধৃতদের দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হলে বিচারক ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। রবিবার রাতে দুর্গাপুর নগরনিগমের অস্থায়ী কর্মী নাসিরউদ্দিন শেখকে এই মামলায় আটক করা হয়। তাঁকে সারারাত জিজ্ঞাসাবাদের পর সোমবার সকালে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সোমবার বেলার দিকে এই ঘটনায় পঞ্চম অভিযুক্ত সফিকুল শেখকেও গ্রেপ্তার করা হয়। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, বিজড়া এলাকায় গা ঢাকা দিয়েছিলেন তিনি। পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে গোপালমাঠ এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
এই ঘটনায় নির্যাতিতার সহপাঠীর ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তরা ওই ডাক্তারি পড়ুয়াকে ঘিরে ধরলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই সহপাঠীর বিরুদ্ধে। তরুণীর সেই বন্ধুকে আটক করে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাঁর বয়ানের সত্যতা যাচাইয়ের চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। এরপর পাঁচের পৃষ্ঠায়