মেরামতির জেরে ফের বন্ধ ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার মোট ৪ দিন ধরে বন্ধ থাকবে সড়কটি। ২৯ মাইল থেকে গেলখোলা পর্যন্ত রাস্তা পুরোপুরিভাবে বন্ধ থাকবে। যে কোনও ধরনের যান চলাচলের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের তরফে। বারবার বাংলা ও সিকিমের লাইফলাইন ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ থাকায় সড়ক কর্তৃপক্ষের উপর বেজায় ক্ষুব্ধ পর্যটন ব্যবসায়ীরা। সড়ক বন্ধ থাকার ফলে বিকল্প রাস্তার ব্যবস্থা করলেও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পর্যটকদের।
কিছুদিন আগের টানা ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত অবস্থা উত্তরবঙ্গের। একাধিক জায়গায় নেমেছে ধস। ভেসেছে বাড়ি। বিপর্যয়ের কারণে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের বেশ অনেক জায়গায় ধস নেমেছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৯ মাইল থেকে গেলখোলা পর্যন্ত রাস্তার একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে। গেলখোলা এলাকায় সিঙ্কহোল তৈরি হয়ে সড়কের নীচের স্তর ভেঙে গিয়েছে। এর কারণে পুরো সড়ক মেরামতির জন্য বন্ধ রাখা হচ্ছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। শিলিগুড়ি ও সিকিমের সংযোগস্থল এই ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ করার ফলে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের তরফে সেভক থেকে রংপো পর্যন্ত সোমবার দুপুর ১টা ৪০ মিনিট থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত সড়ক বন্ধ থাকার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। যদিও বিকল্প রাস্তা হিসেবে আলগাড়া, গরুবাথান দিয়ে সিকিমের দিকে যাওয়া যাবে। আবার দার্জিলিং থেকে কালিম্পঙয়ের রাস্তাও খোলা থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
রাস্তা মেরামতির জন্য বারবার এই সড়ক বন্ধ করার ফলে নাজেহাল পর্যটক থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীরা। যেখানে শিলিগুড়ি থেকে গ্যাংটকে যেতে ৪ ঘণ্টা লাগে, সেখানে সড়ক বন্ধ থাকার ফলে বাগরাকোটা-লাভা-আলগাড়া বা গরুবাথান হয়ে যেতে সময় লাগবে ৬ ঘণ্টা। স্থায়ী কোনও ব্যবস্থা ছাড়া এমন হলে দার্জিলিং পার্বত্য অঞ্চলে পর্যটন শিল্পের উপর ব্যাপক ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে।
হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড টুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘২৯ মাইল থেকে গেলখোলার মধ্যে অন্তত পাঁচ জায়গায় বড় ধস রয়েছে। দ্রুত ওই ধস মেরামতির জন্য সংগঠনের তরফে কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়। অবিলম্বে রাস্তা মেরামত না করা হলে আন্দোলন হবে বলেও জানানো হয়েছে।’