‘মায়ের আশীর্বাদে মুছে যাক গ্লানি, বিনাশ হোক অশুভ শক্তির’ বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বার্তা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, সোমবার বিকেলে বিষ্ণুপুরের আমতলার দলীয় কার্যালয়ে পৌঁছে যান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ঢাক বাজিয়ে, পুষ্প বর্ষণের মাধ্যমে ‘ঘরের ছেলে’কে বরণ করে নেন দলীয় কর্মী-সমর্থক থেকে আমজনতা। রাস্তার দু’ধারে উপচে পড়া ভিড়। নজরকাড়া মানুষের উপস্থিতি বুঝিয়ে দিল, প্রত্যেকেই তাঁদের ‘ঘরের ছেলে’কে বিজয়ার শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করতে উৎসাহী।
এদিনের অনুষ্ঠানে দলের অন্দরে একাধিক সুখবরও দিয়েছেন সাংসদ। জানিয়েছেন, আগামী ডিসেম্বর মাস থেকে ফের বিনামূল্যের স্বাস্থ্যশিবির ‘সেবাশ্রয়’-এর সূচনা করতে পারেন তিনি। পাশাপাশি দলীয় নেতাদের জানিয়েছেন, ভোট প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে আগামী দিনে নিজ সংসদীয় কেন্দ্রে দফায় দফায় বৈঠকে বসবেন তিনি। তবে দিনক্ষণ এখনই জানাননি। দলের অন্দরে তাঁর পরামর্শ, উৎসব চলছে। তাই সাধারণ মানুষের পাশে থাকতে হবে, তাঁদের সুবিধা-অসুবিধায় পৌঁছে যেতে হবে আমজনতার দোরগোড়ায়। সেই সঙ্গে নির্বাচনকে পাখির চোখ করে জনসংযোগের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশও দিয়েছেন সাংসদ।
উল্লেখ্য, এদিন কার্যালয়ে প্রবেশের পর উপস্থিত সকলের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন সাংসদ। ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত প্রত্যেক বিধানসভার বিধায়ক, পঞ্চায়েত প্রধান, পৌরপ্রধান থেকে শুরু করে সকল স্তরের জনপ্রতিনিধি, দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছেন অভিষেক। বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি হাসিমুখে তাঁদের দেওয়া উপহার গ্রহণ করেছেন, তুলেছেন নিজস্বী। প্রতিবারের মত এবারও সাংসদের এই সৌভ্রাতৃত্বসুলভ আচরণ মন কেড়েছে সকলের। বিজয়া সম্মিলনী তৃণমূলের কাছে জনসংযোগের অস্ত্র হলেও, অভিষেকের কার্যালয়ে আয়োজিত এই অনুষ্ঠান দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে ‘দাদা’র সঙ্গে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করে গল্প করার সুযোগও। এদিন কার্যালয়ের বাইরে অভিষেকের নির্দেশে নির্মিত হয়েছিল ‘হেল্প ডেস্ক’।
আমজনতা সেখানে উপস্থিত হয়ে অভাব-অভিযোগ, সমস্যা নথিভুক্ত করেন। সাংসদের নির্দেশ, সংশ্লিষ্ট অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখে দ্রুত পদক্ষেপ করতে হবে। এমনকি, এদিনের অনুষ্ঠান শেষে কার্যালয়ের বাইরে বেরোতেই আমজনতা এগিয়ে আসেন তাঁর দিকে। করজোড়ে প্রণাম ও হাত নাড়িয়ে অভিবাদন জানান সাংসদ। কালী প্রতিমা, ছবি-সহ অগণিত উপহার অভিষেকের হাতে তুলে দেন সাধারণ মানুষ। এদিনের অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন অভিষেকের আপ্তসহায়ক সুমিত রায়। উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী দিলীপ মণ্ডল, বিধায়ক শওকত মোল্লা, অশোক দেব, দক্ষিণ ২৪ পরগনার কর্মাধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর খান প্রমুখ।